Thursday, 20 March 2014

সবজি যেখানে রাজা!!...... (সবজি সাসলিক)

২০ মার্চ ২০১৪

Food Photography, Dhaka, Bangladesh

শিশ কাবাব বা সাসলিক সবসময় কোন না কোন মাংসেরই হয়; অন্তত সেটাই জেনে এসেছি। তবে মাংসের সাথে আবার সব্জিও থাকে অনেক সময়। তখন কিন্তু সব্জিগুলিকে মাংসের মতো করেই প্রসেস করা হয়, যেন সব্জিগুলিও একরকমের মাংস। যদি সেভাবেই সবজিগুলি মাংসের পাশে থাকে, তবে মাংসগুলিকে বাদ দিয়ে আলাদাভাবে একটা ডিশ হতে সমস্যা কি? তখন মাংসগুলিকে অন্য কোন ডিশ হিসেবে সার্ভ করা যাবে; অন্য কোন ফ্লেভার দিয়ে। খাবারেও বৈচিত্র আসবে কিছুটা। মাংসের সাথে সবজি থাকলে সব্জিকে আলাদাভাবে খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আলাদা ডিশ হলে সেটার দিকে সবার চোখ যেতে বাধ্য। আর রঙ্গিন সব্জি হলে তো কথাই নেই; হয়ে যাবে খাবার টেবিলের আলাদা আকর্ষণ। যাই হোক, গৌরচন্দ্রিকা শেষে আসল কথা হলো আমরা আজকে বানাচ্ছি সবজি সাসলিক (Vegetable Shashlik)। চলুন প্রসেসটা দেখে নিই।


Food Photography, Dhaka, Bangladesh

সবজি সাসলিক করছি বলেই যে এখানে মসলার ঘাটতি করবো তা কিন্তু নয়। আমরা কয়েক ধরনের সস এখানে ব্যবহার করেছি। বেশিরভাগ সময় সাসলিক তৈরিতে গাজর-ক্যাপসিকাম-পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। বাজারে এখনো ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে বলে আমরা ফুলকপিও ব্যবহার করেছি। আর আলু-টা দিয়েছি খাবারে একটু বৈচিত্র আনার জন্যে। আলু-টা এই সাসলিকে কিছুটা শর্করা যোগ করবে।



গাজর ক্যাপসিকাম ও পিঁয়াজ কিছুটা কচকচে থাকলেও খাওয়া যায়। কিন্তু ফুলকপি আর আলু তো কাঁচা খাওয়া যায় না। আর সাসলিক তো তৈরি হয়ে যায় খুব অল্প তেলে অল্প সময়ে। অতো কম সময়ে ফুলকপি আর আলু সিদ্ধ হবেনা। তাই ফুলকপির ফুলগুলিকে সামান্য লবণ দিয়ে ভাপিয়ে নিয়েছি। আর আলুগুলিকে সিদ্ধ করে চার টুকরা করে কেটে নিয়েছি।










এখন সব্জিগুলিকে মেরিনেট করার পালা। সবজি হলেও এগুলিকে ঘন্টাখানেকের জন্য মেরিনেট করে রাখা দরকার। আমরা এখানে ব্যবহার করেছি ওইস্টার সস, ফিস সস, চিলি সস, সয়া সস, শুকনা মরিচের গুঁড়া ও সামান্য লবণ। লবণ দেওয়ার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হয়েছে, কারণ ব্যবহৃত বেশিরভাগ সসই বেশ লবণাক্ত। সমস্ত উপকরণ দিয়ে সব্জিগুলিকে মেরিনেট করে ১ থেকে দেড় ঘন্টার জন্যে রেখে দিয়েছি।



Food Photography, Dhaka, Bangladesh

মেরিনেশনের পর সাসলিক কাঠিতে সব্জিগুলিকে নিজের পছন্দমত গেঁথে নিয়ে নন স্টিক ফ্রাই প্যানে অল্প তেলে (আমরা এখানে রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি; আপনি যেকোন তেল ব্যবহার করতে পারেন) মিডিয়াম আঁচে এপিঠ-ওপিঠ পালটে ৮-১০ মিনিট ভেজে নিয়েছি। ব্যাস হয়ে গেল আমাদের সবজি সাসলিক (Vegetable Shashlik)। এখন মাংসের কোন ডিশের সাথে পরোটা বা লুচির সাথে গরম গরম সার্ভ করতে পারেন এই ভিন্ন স্বাদের সব্জির আইটেমটি। আশা করি পরিবার-পরিজন বা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ভালো সাড়া পাবেন।

Food Photography, Dhaka, Bangladesh

আশা করি আপনার মতামত দিতে ভুলে যাবেন!


Friday, 14 March 2014

এ আবার কেমন কাবাব!!...... (চিকেন প্যান কাবাব উইথ অনিওন)

১৪ মার্চ ২০১৪

Food Photography, Dhaka, Bangladesh


কাবাব কে না ভালোবাসে। কিন্তু কাবাব বানানোটা মাঝে মাঝে বেশ ঝামেলারই মনে হয়। তখন মনে হয় এর চেয়ে কোন সহজ উপায়ে কাবাব বানানো গেলে কত মজাই না হতো। কয়লার আগুনে দিয়েই হোক, অথবা গরম তেলে ভাজাভাজি করেই হোক, কাবাব বানানোর প্রসেসটা অনেকের কাছেই কিছুটা ঝামেলার লাগে। যারা আমাদের ব্লগ ফলো করেন, তারা মোটামুটি জানেন যে আমরা বেশিরভাগ সময়ই কষ্ট কম হয় এমন রান্নার দিকে ঝুঁকে থাকি। এবারেও এর খুব একটা ব্যতিক্রম হবে না। কম কষ্টে মজার একটা রান্না হলে মন্দ কি?

তবে কাবাবের ফ্লেভারটাই আসল। ওই ফ্লেভারটার জন্যেই এত কিছু করা। ফ্লেভারের একটা অংশ কিন্তু আসে মসলা থেকে। কাবাবের মসলা ব্যবহার করে রান্না করলে কাবাবের ফ্লেভার কিছুটা হলেও পাওয়া সম্ভব। রান্নার প্রসেসের মাধ্যমে সেই ফ্লেভারটাকে আরও বাড়ানো সম্ভব। তবে কয়লার আগুনে না পোড়ালে স্মোকি ফ্লেভারটা পাওয়া যাবে না। কিন্তু সেই স্মোকি ফ্লেভারের জন্যই কিন্তু যত অতিরিক্ত কষ্ট। আজ আমরা সেই কষ্ট বেশ কিছুটা লাঘব করে প্যানের মাঝেই একটা কাবাব তৈরির চেষ্টা করবো। প্যানে তৈরি করবো বলেই এটাকে আমরা বলছি প্যান কাবাব... চিকেন প্যান কাবাব উইথ অনিওন (Chicken Pan Kebab with Onion)।

Food Photography, Dhaka, Bangladesh

 এই কাবাবের জন্য আমরা হাড় সহই মুরগীর মাংসকে ছোট টুকরা করে নিয়েছি। কেউ চাইলে হাড় ছাড়াও মাংস নিতে পারেন। কাবাবের ফ্লেভারটা আনার জন্য আমরা বাজার থেকে কেনা ভাল ব্র্যান্ডের তন্দুরী চিকেন মসলা ব্যবহার করেছি।







 ছোট টুকরা করা মুরগীর মাংসের সাথে আদা-রসুন বাঁটা, পিঁয়াজ বাঁটা, তন্দুরী চিকেন মসলা, শুকনা মরিচ গুঁড়া ও সামান্য লবণ দিয়ে ঘন্টা দু'য়েকের জন্য ম্যারিনেট করে রেখে দিয়েছি। এই ম্যারিনেশ-টা যেকোন চিকেন কাবাবকে চিকেনের অন্য রেসিপি থেকে আলাদা করবে।




 

দু'ঘন্টা পরে ম্যারিনেট করা মুরগীগুলিকে একটা ননস্টিক হাঁড়িতে নিয়ে মিডিয়াম আঁচে সিদ্ধ করে নিই। এখানে আলাদা তেমন পানি ব্যবহার করিনি, তবে মুরগীগুলিকে হাঁড়িতে দেবার পরে বাটিতে লেগে থাকা মশলাগুলিকে সামান্য পানি দিয়ে ধুয়ে সেই পানিটা মুরগীতে দিয়ে দিয়েছি। তারপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। মুরগী থেকে বের হওয়া পানিই মুরগীকে সিদ্ধ করবে।




মুরগী সিদ্ধ হয়ে যাবার পরে একটি ননস্টিক ফ্রাই প্যানে পরিমাণমত তেল (আমরা এখানে রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি; আপনি যেকোন তেল ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে মোটা করে কাটা পিঁয়াজের রিং সেই তেলে দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করি। আমরা এখানে প্রায় দু'কাপ পরিমাণ পিঁয়াজ ব্যবহার করেছি। পিঁয়াজের রিংগুলি হাল্কা ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে সিদ্ধ করা মুরগীগুলি দিয়ে দিই। এরপর খুব ভালো মত পিঁয়াজের সাথে মিশিয়ে নিই। মুরগীটা চূলাতেই মিডিয়াম আঁচে বারবার নাড়াচাড়া করতে থাকি। এক পর্যায়ে মুরগীর মধ্যে পোড়া-পোড়া একটা ভাব আসে, আর তেল-টা আলাদা হয়ে যায়। সবশেষে নামানোর আগ মুহুর্তে আস্ত কাঁচা মরিচ ও ধনে পাতা কুঁচি দিয়ে নামিয়ে নিই। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল চিকেন প্যান কাবাব উইথ অনিওন (Chicken Pan Kebab with Onion)।

গরম গরম পরোটা বা নান রুটির সাথে কিছু সবজি বা সালাদ সহ খেতে খুব ভালো লাগবে। ভাতের সাথে বা পোলাও-এর সাথে খেতে মন্দ লাগবে না।


Food Photography, Dhaka, Bangladesh


আপনাদের মতামত দিতে আশা করি ভুলে যাবেন!

আমাদের চিকেন নিয়ে অন্য পোস্টগুলিও দেখে নিতে পারেনঃ
সরিষা-পুদিনা চিকেন ফয়েল বারবিকিউ
চিলি চিকেনের সাথে গাজর
পাস্তার সাথে চিকেন ব্রোস্ট আর ভেজিটেবল
স্টাফড চিকেন ব্রেস্ট, সাথে পনির ও পুদিনা
বাঁটা পিঁয়াজে চিকেন ভুনা
চিলি-লাইম চিকেন
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
পেস্তো পাস্তার সাথে চিকেন বল
স্পাইসি টেম্পুরা চিকেন এন্ড শ্রিম্প সালাদ
চিকেন উইং ললিপপ
স্পাইসি চিকেন-ভেজি সাসলিক
হানি চিকেন সাসলিক এন্ড স্টির ফ্রাইড ব্রকলি উইথ গার্লিক
চিকেন তন্দুরী কাবাব

Monday, 10 March 2014

রং-এর আকর্ষণ অন্য রকম!!...... (সবজি লুচি)

১০ মার্চ ২০১৪

Food Photography, Dhaka, Bangladesh

ছোটবেলায় মা যখন লুচি খেতে দিতেন, তখন খেতে চাইতাম না। কিন্তু যখন সেই একই লুচি রঙ্গিন হয়ে সামনে দেখা দিত, তখন ঠিকই গপাগপ খেয়ে নিতাম। রং-এর আকর্ষণ এখানেই। শুধু ছোটরাই যে রং-এর প্রতি আকর্ষিত হয় তা কিন্তু নয়। বড়রাও রঙ্গিন জিনিস দেখলে সেটার দিকে হাত বাড়াতে চায়। আসলে দেখতে ভাল হওয়া একটা খাবারের পেট পর্যন্ত পৌঁছার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় বৈকি। আর এই সৌন্দর্যের একটা প্রধান দিক হচ্ছে রঙ। আমরা বড়-ছোট সবাই আসলে সৌন্দর্য-পিপাসু।

বিশ্ব নারী দিবসে আমাদের বাড়িতে ছোট-খাট একটা পার্টি হয়ে গেল। সেখানে প্রধান আকর্ষণ ছিল রঙ্গিন সেই লুচি। আমাদের বাড়ির ক্ষুদে নারীরা (লামিসা আর তাবাসসুম) বেশ মজা করেই সেই লুচি খেয়েছিল; আমরাও খেয়েছি। আজ সেই লুচি নিয়েই কথা বলবো।


Food Photography, Dhaka, Bangladesh

রঙ্গিন লুচি বলে মনে করবেন না যে সেখানে অকৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃতিতে এত্ত এত রঙ থাকতে কৃত্রিম জিনিসের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার দরকার আছে কি? গাজর, পালংশাক আর বীট - এই তিন সবজি আমাদের তিন ধরণের রং-ই শুধু দেবে না, দেবে প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ একটা খাবার। আর এজন্যেই আমাদের এই লুচিকে আমরা বলছি সবজি লুচি (Vegetable Luchi)। বাড়ির ছোট্ট সদস্যরা এটাকে বলছে বেলুন লুচি।

আমরা সবগুলি সব্জিকেই বেঁটে নিয়েছি। বীটের রঙ আমাদের দেবে বেগুনী/মেরুন রঙ, গাজর দেবে হলুদাভ কমলা রঙ আর পালং শাক দেবে হাল্কা সবুজ রঙ।




হাফ কাপ আটার সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে তার সাথে গাজর বাঁটা দিয়ে কমলা রঙের ডো বানিয়ে নিয়েছি।






একইভাবে পালংশাক আর বীট দিয়েও আরও দু'টা  রঙ্গিন ডো বানিয়ে ফেললাম।





ডো-গুলিকে লম্বা আকৃতির (ছবির মতো) করে তৈরি করেছি। তারপরে তিনটি লম্বা ডো-কে একসাথে করে ছুরি দিয়ে কেটে নিয়েছি। এরপর হাতের উপরে এই তিন রঙের ডো-কে একত্র করে চ্যাপ্টা বানিয়ে নিয়েছি। গোলাকৃতির এই ডো-তে তিন রঙের সমাহার দেখা যাবে।



এখন তিন রঙের ডো-গুলিকে লুচির আকারে বেলে নিয়েছি।


বেলে নেওয়া লুচিগুলিকে গরম ডুবো তেলে (আমরা এখানে রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি; আপনি যেকোন তেল ব্যবহার করতে পারেন) ভেজে নিয়েছি। ব্যাস, হয়ে গেল আমাদের সবজি লুচি (Vegetable Luchi)। এখন শুধু গরম গরম পরিবেশন করা বাকি।

Food Photography, Dhaka, Bangladesh

আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন আশা রাখি।

Monday, 3 March 2014

কিসের না ভর্তা হয়!!...... (ফুলকপির ভর্তা)

০৩ মার্চ ২০১৪

Food Photography, Dhaka, Bangladesh


শীতের শেষ; এসেছে বসন্ত। তবে ফুলকপির কমতি নেই বাজারে। বাজার থেকে শীত যেন একটু ধীরেই যায়। তবে সেটা বেশ ভালোই, কারণ শীতকালীন টাটকা শাক-সব্জির কোন তুলনা নেই। ক'দিন আগে আমরা ফুলকপির রোস্ট নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। পুরো শীতকালই আমাদের বাড়িতে চলেছে ফুলকপি। ফুলকপির সবগুলি রেসিপির মাঝে রোস্টটাই সবচাইতে আলাদা মনে হয়েছিল। কিন্তু সেটা আবার প্রতিদিন তৈরি করা যায় না। মোটামুটি রেগুলার তৈরি করার একটা রেসিপি সবসময় খুঁজে বেড়িয়েছি। আর সেটার ফলশ্রুতিতে আজ এমন একটা রেসিপি নিয়ে কথা বলবো, যেটা চিন্তা করা বেশ সহজ - ভর্তা! এমন কোন খাবার কি আছে, যেটার ভর্তা তৈরি করা যায় না? আমাদের আজকের এই ভর্তা কিন্তু গ্রেটেড (grated) ধরনের; একেবারে মিহি ভর্তা নয়। তাই আমরা এটাকে Smashed Cauliflower না বলে Grated Cauliflower বলতে চাচ্ছি।

Food Photography, Dhaka, Bangladesh

আমাদের ব্লগ যারা ফলো করছেন নিয়মিত, তারা নিশ্চয়ই এতদিনে বুঝে গেছেন যে আমরা কম উপকরণে রান্নার সুযোগে থাকি সবসময়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে সরিষার তেল (Mustard Oil) না হলে ভর্তা যেন হয়ই না। ভর্তার প্রধান ফ্লেভারটাই আসবে সরিষার তেল থেকে। তবে তাতে জিরা আর ধনে পাতার স্বাদটাও ঠিকই টের পাবেন।


আমাদের এর আগের ফুলকপির রোস্ট নিয়ে যে পোস্ট ছিল, ওখানে বলেছিলাম কিভাবে আস্ত ফুলকপিটি আমরা ধুয়ে রাখবো। ফুলকপির ফুলগুলিকে যতটা সম্ভব ছোট কুঁচি বা গ্রেটিং করে নিয়েছি। আমরা কুঁচি বা গ্রেটিং করার মেশিন ব্যবহার করেছি, কারণ ছুরি বা বটিতে অতটা মিহি করে কুঁচি করা বেশ কষ্টসাধ্য।





মিহিকুঁচি করা ফুলকপিগুলিকে ফ্রাইপ্যানে সামান্য লবণ দিয়ে মাখিয়ে ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ১২-১৫ মিনিট সিদ্ধ করি। এখানে আমরা আলাদাভাবে কোন পানি ব্যবহার করিনি, কারণ লবণ দেবার পরে ফুলকপি যথেষ্ট পরিমাণে পানি ছাড়বে। আর এই পানিতেই ফুলকপির কুঁচিগুলি সিদ্ধ হয়ে যাবে।



ফুলকপি সিদ্ধ হবার পরে তা চূলা থেকে নামিয়ে আলাদা বাটিতে তুলে রাখি।






এরপর ফ্রাইপ্যানে পরিমাণমত সরিষার তেল দিয়ে পিঁয়াজ কুঁচি আর কাঁচা মরিচ কুঁচি দিয়ে সামান্য ভাজা ভাজা হবার পরে সিদ্ধ ফুলকপিগুলি তাতে দিয়ে দিই। এবার তাতে টালা জিরা গুঁড়া দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নিয়ে লবণের আঁচটা পরীক্ষা করে নিই। কারণ আমরা শুরুতে সামান্য লবণ দিয়ে ফুলকপি সিদ্ধ করেছিলাম। এখন দরকার হলে আরও লবণ দেওয়া যাবে। সবশেষে টাটকা ধনে পাতা কুঁচি দিয়ে চূলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

হয়ে গেল আমাদের ফুলকপির ভর্তা (Grated Cauliflower)। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন; দারুন স্বাদ পাবেন। ভর্তার সাথে ভাত ছাড়া অন্য কিছু যেন চলেই না!


Food Photography, Dhaka, Bangladesh

 আপনাদের ফীডব্যাক দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমাদের সামনে এগুনোর শক্তি যোগায়।

আমাদের ভর্তার অন্য পোস্টগুলিও দেখে নিতে পারেনঃ
কালিজিরা ভর্তা
ঝিঙ্গা ভর্তা
ভর্তার সমাহার