০১ জুন ২০১৩
এর আগে আমরা চিকেন নিয়ে আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেছি আর সেটা নিয়ে ব্লগও লিখেছিলাম। সেবার অবশ্য আলাদা কিছু করতে গিয়ে কষ্ট কমানোটা হয়ে গিয়েছিল সবচেয়ে মূখ্য ব্যাপারগুলির একটি। এবারে অবশ্য স্বাদের ব্যাপারটাই মূখ্য, তবে খুব বেশী সময় যে লেগে গিয়েছিল, তা কিন্তু নয়। বরং ছবি তোলার জন্যই বেশী সময় লেগেছিল। আর তাছাড়াও সবসময় একই প্রসেসে মুরগীর রান্না করতে করতে একটু বোরিং ভাব চলে আসছিল। তাই আজকের এই প্রয়াস।
প্রথম থেকেই উদ্দেশ্য ছিল এমন একটা খাবার তৈরি করা, যেটা প্রয়োজনীয় খাদ্যপ্রাণের (ভিটামিনের) বেশ কিছুটা পূরণ করে দেবে। কাজেই যোগ হলো গাজর আর শসা। গাজরে প্রচুর ভিটামিন 'এ' রয়েছে; ক্যালসিয়াম আর পটাসিয়ামও কম নেই। আর স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হলে শসা তো প্রতিদিনের খাবারে থাকাই উচিত। শসায় ৯৫% পানি থাকে, কাজেই আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে শসার জুরি নেই। আর শসা ভিটামিন 'বি'-এর একটা ভালো উতস। টমেটোতেও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন 'সি', রয়েছে ভিটামিন 'এ', পটাসিয়াম ও ফলিক এসিড।
মুরগীগুলি রেগুলার সাইজেই টুকরা করা হয়েছে। এর সাথে দু' থেকে তিন টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার ও সামান্য লবণ দিয়ে মাখিয়ে ডুবো তেলে চার-পাঁচ মিনিট ভেজে নিয়েছি।
এখন অন্য একটি কড়াইতে খাবার তেল (আমরা রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি, তবে আপনি যেকোন খাবার তেল ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে তাতে পিঁয়াজ কলি হাল্কা বাদামী করে ভেজে তাতে সয়াসস, আদা-রসুন বাটা দিয়ে মসলাগুলি সামান্য ভুনে নিয়েছি। এরপর এতে একে একে কিউব করে কাটা টমেটো, ফুল করে (আমরা দেখার সৌন্দর্যের জন্য এভাবে কেটেছি; নাহলে কিউব করে কাটলেও সমস্যা নেই) কাটা গাজর, শুকনা মরিচ গুঁড়া, চিলি টমেটো সস (রান্নাটা একটু ঝাল ঝাল চাচ্ছিলাম; তাই নামটাও কিন্তু চিলি চিকেন) দিয়ে ভালোমতো সব্জিগুলিকে মিক্স করি।
সয়াসস দেয়া সত্তেও রান্নায় লবণটা একটু কম মনে হচ্ছিল; তাই সামান্য লবণও যোগ করি। এরপর তাতে আধা-ভাজা মুরগীগুলি দিয়ে ভালোমতো নাড়াচাড়া করি। সামান্য কিছু পানি দিই, যাতে তরকারিটা ঝোলটা মাখা-মাখা হয়। এখন উপরে শসার বড় বড় টুকরা দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিই। বলা যায় যে, পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এই রান্না শেষ হয়ে যায়, কারণ আমাদের মুরগীর টুকরাগুলিকে আগে থেকেই আধা-ভাজা করে রেখেছিলাম। রান্না শেষে আরেকটু ঝাল ফ্লেভার আর দেখার সৌন্দর্যের জন্য পাঁচ-ছয়টি আস্ত কাঁচা মরিচ দিয়ে এক মিনিটের জন্য ঢেকে রাখি। এক মিনিট পর চূলা বন্ধ। গরম ভাত বা খিচুরি বা রুটির সাথে সার্ভ করুন। আমরা অবশ্য গরম ভাতের সাথেই খেয়েছিলাম। খারাপ লাগেনি কিন্তু।
আজকে এখানেই শেষ করবো। আবারো নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো শিগগিরই। আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন।
আমাদের চিকেন নিয়ে লেখা অন্য পোস্টগুলিঃ
সরিষা-পুদিনা চিকেন ফয়েল বারবিকিউ
বাঁটা পিঁয়াজে চিকেন ভুনা
পাস্তার সাথে চিকেন ব্রোস্ট আর ভেজিটেবল
স্টাফড চিকেন ব্রেস্ট, সাথে পনির ও পুদিনা
চিকেন সালাদ উইথ সামার ভেজি
চিলি-লাইম চিকেন
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
পেস্তো পাস্তার সাথে চিকেন বল
এর আগে আমরা চিকেন নিয়ে আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেছি আর সেটা নিয়ে ব্লগও লিখেছিলাম। সেবার অবশ্য আলাদা কিছু করতে গিয়ে কষ্ট কমানোটা হয়ে গিয়েছিল সবচেয়ে মূখ্য ব্যাপারগুলির একটি। এবারে অবশ্য স্বাদের ব্যাপারটাই মূখ্য, তবে খুব বেশী সময় যে লেগে গিয়েছিল, তা কিন্তু নয়। বরং ছবি তোলার জন্যই বেশী সময় লেগেছিল। আর তাছাড়াও সবসময় একই প্রসেসে মুরগীর রান্না করতে করতে একটু বোরিং ভাব চলে আসছিল। তাই আজকের এই প্রয়াস।
প্রথম থেকেই উদ্দেশ্য ছিল এমন একটা খাবার তৈরি করা, যেটা প্রয়োজনীয় খাদ্যপ্রাণের (ভিটামিনের) বেশ কিছুটা পূরণ করে দেবে। কাজেই যোগ হলো গাজর আর শসা। গাজরে প্রচুর ভিটামিন 'এ' রয়েছে; ক্যালসিয়াম আর পটাসিয়ামও কম নেই। আর স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হলে শসা তো প্রতিদিনের খাবারে থাকাই উচিত। শসায় ৯৫% পানি থাকে, কাজেই আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে শসার জুরি নেই। আর শসা ভিটামিন 'বি'-এর একটা ভালো উতস। টমেটোতেও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন 'সি', রয়েছে ভিটামিন 'এ', পটাসিয়াম ও ফলিক এসিড।
মুরগীগুলি রেগুলার সাইজেই টুকরা করা হয়েছে। এর সাথে দু' থেকে তিন টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার ও সামান্য লবণ দিয়ে মাখিয়ে ডুবো তেলে চার-পাঁচ মিনিট ভেজে নিয়েছি।
এখন অন্য একটি কড়াইতে খাবার তেল (আমরা রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি, তবে আপনি যেকোন খাবার তেল ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে তাতে পিঁয়াজ কলি হাল্কা বাদামী করে ভেজে তাতে সয়াসস, আদা-রসুন বাটা দিয়ে মসলাগুলি সামান্য ভুনে নিয়েছি। এরপর এতে একে একে কিউব করে কাটা টমেটো, ফুল করে (আমরা দেখার সৌন্দর্যের জন্য এভাবে কেটেছি; নাহলে কিউব করে কাটলেও সমস্যা নেই) কাটা গাজর, শুকনা মরিচ গুঁড়া, চিলি টমেটো সস (রান্নাটা একটু ঝাল ঝাল চাচ্ছিলাম; তাই নামটাও কিন্তু চিলি চিকেন) দিয়ে ভালোমতো সব্জিগুলিকে মিক্স করি।
সয়াসস দেয়া সত্তেও রান্নায় লবণটা একটু কম মনে হচ্ছিল; তাই সামান্য লবণও যোগ করি। এরপর তাতে আধা-ভাজা মুরগীগুলি দিয়ে ভালোমতো নাড়াচাড়া করি। সামান্য কিছু পানি দিই, যাতে তরকারিটা ঝোলটা মাখা-মাখা হয়। এখন উপরে শসার বড় বড় টুকরা দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিই। বলা যায় যে, পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এই রান্না শেষ হয়ে যায়, কারণ আমাদের মুরগীর টুকরাগুলিকে আগে থেকেই আধা-ভাজা করে রেখেছিলাম। রান্না শেষে আরেকটু ঝাল ফ্লেভার আর দেখার সৌন্দর্যের জন্য পাঁচ-ছয়টি আস্ত কাঁচা মরিচ দিয়ে এক মিনিটের জন্য ঢেকে রাখি। এক মিনিট পর চূলা বন্ধ। গরম ভাত বা খিচুরি বা রুটির সাথে সার্ভ করুন। আমরা অবশ্য গরম ভাতের সাথেই খেয়েছিলাম। খারাপ লাগেনি কিন্তু।
আজকে এখানেই শেষ করবো। আবারো নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো শিগগিরই। আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন।
আমাদের চিকেন নিয়ে লেখা অন্য পোস্টগুলিঃ
সরিষা-পুদিনা চিকেন ফয়েল বারবিকিউ
বাঁটা পিঁয়াজে চিকেন ভুনা
পাস্তার সাথে চিকেন ব্রোস্ট আর ভেজিটেবল
স্টাফড চিকেন ব্রেস্ট, সাথে পনির ও পুদিনা
চিকেন সালাদ উইথ সামার ভেজি
চিলি-লাইম চিকেন
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
পেস্তো পাস্তার সাথে চিকেন বল
No comments:
Post a Comment