২৮ জুন ২০১৩
আমাদের দেশের মিষ্টি খাবারের মধ্যে হালুয়া অন্যতম। অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানেই হালুয়া তৈরি করাটা আমাদের সামাজিকতার একটা অংশই হয়ে গেছে। যেখানেই একটু মিষ্টি মুখ করা, সেখানেই হালুয়াটা না হলে যেন চলে না। হালুয়া এমনি এমনি যেমন খাওয়া যায়, তেমনি রুটি/লুচি/পরোটা সহ খেতে তো সেই রকম। কিন্তু সমস্যা হলো, হালুয়া যেমন ফ্রিজে রেখে বেশ কিছুদিন ধরে খাওয়া যায়, রুটি/লুচি/পরোটা কিন্তু ঠিক সেরকম নয়। ফ্রিজ থেকে হালুয়া বের করে দেখা গেল রুটি বা পরোটা কোনটাই বানানো নেই। সময় থাকলে রুটি বানানো যেতেই পারে, কিন্তু আমাদের যান্ত্রিক জীবনে সবসময় এই কষ্টটা যেন হয়ে উঠতে চায় না। ঠিক যখন হালুয়াটা একা একা আমাদের পেটে ঢোকার অবস্থা, সেই সময় এই ঘটনাটা ঘটলো। সেই গল্পই বলছি।
খাবার টেবিলে বসেই আইডিয়াটা এলো। আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো এটার স্বাদ নিয়েও ফেলেছেন, তারপরেও বলি। যারা এখনো এটা ট্রাই করেননি, তাদের জন্যেই বলছি। ক্র্যাকার্সের প্যাকেটটা মড়মড়িয়ে খুলতে খুলতেই মনে হলো পেটের ভেতরে হালুয়া এবং ক্র্যাকার্স আলাদা আলাদা যাবে কেন? সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে খাবার টেবিলে গল্প করতে করতেই বাকিটা হয়ে গেল। একেকটা ক্র্যাকার্সের উপরে বসে গেল দু'টা মজার হালুয়ার স্তর। তার উপরে উড়ে এসে জুরে বসলো কিছু গ্রেটিং করা গাজর।
প্রথম বাইটটাই বলে দিলো আইডিয়াটা ভালো ছিল! হালুয়ার মিষ্টি-ভাবটা মুখে আসার সাথে সাথেই ক্র্যাকার্সের মচমচ! চকোলেটের বাক্সের মতো কিছুটা সাসপেঞ্জ রাখার চেষ্টা করলাম। হালুয়াগুলি মিক্স-এন্ড-ম্যাচ করে দিলাম। একেকটা আলাদা ক্র্যাকার্সের উপরে একেক হালুয়ার কম্বিনেশন। মুখে দেবার পর আবিষ্কার করলাম ওখানে কি কি ছিল। খাবার তৈরি করতে করতে গল্প সবসময় হয় না। তবে সেদিন হয়েছিল; হয়েছিল এই হালুয়া-ক্র্যাকার্সের (Halua Cracker Bites) বদৌলতেই। আর এটা কিন্তু সত্যি সত্যিই গল্প করে খাওয়ার জিনিস। সবগুলি একসাথে বানাতে কিন্তু কিছু সময় নেবে। বানাতে বানাতে প্রথমে বানানোটা কিন্তু বেশ নরম হয়ে যাবে। তখন কিন্তু ক্র্যাকার্সের মচমচে-ভাবটা থাকবে না। তাই এক হাতে বানান, আর আরেক হাতে মুখে পুড়তে থাকুন! এটা প্রায় আসক্তির মতো! ক্র্যাকার্স বা হালুয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত এটা থামানো মুসকিল!
ডেসার্ট বা এপেটাইজার বা বিকেল বা সন্ধ্যার খাবার হিসেবে এটা বেশ মজার বলেই আমাদের কাছে মনে হয়েছে। আশা করি এখনো এটা ট্রাই না করে থাকলে শিগগিরই করবেন। আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ভুলে যাবেন না যেন। পরের পোস্টের আগ পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছি।
আমাদের দেশের মিষ্টি খাবারের মধ্যে হালুয়া অন্যতম। অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানেই হালুয়া তৈরি করাটা আমাদের সামাজিকতার একটা অংশই হয়ে গেছে। যেখানেই একটু মিষ্টি মুখ করা, সেখানেই হালুয়াটা না হলে যেন চলে না। হালুয়া এমনি এমনি যেমন খাওয়া যায়, তেমনি রুটি/লুচি/পরোটা সহ খেতে তো সেই রকম। কিন্তু সমস্যা হলো, হালুয়া যেমন ফ্রিজে রেখে বেশ কিছুদিন ধরে খাওয়া যায়, রুটি/লুচি/পরোটা কিন্তু ঠিক সেরকম নয়। ফ্রিজ থেকে হালুয়া বের করে দেখা গেল রুটি বা পরোটা কোনটাই বানানো নেই। সময় থাকলে রুটি বানানো যেতেই পারে, কিন্তু আমাদের যান্ত্রিক জীবনে সবসময় এই কষ্টটা যেন হয়ে উঠতে চায় না। ঠিক যখন হালুয়াটা একা একা আমাদের পেটে ঢোকার অবস্থা, সেই সময় এই ঘটনাটা ঘটলো। সেই গল্পই বলছি।
খাবার টেবিলে বসেই আইডিয়াটা এলো। আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো এটার স্বাদ নিয়েও ফেলেছেন, তারপরেও বলি। যারা এখনো এটা ট্রাই করেননি, তাদের জন্যেই বলছি। ক্র্যাকার্সের প্যাকেটটা মড়মড়িয়ে খুলতে খুলতেই মনে হলো পেটের ভেতরে হালুয়া এবং ক্র্যাকার্স আলাদা আলাদা যাবে কেন? সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে খাবার টেবিলে গল্প করতে করতেই বাকিটা হয়ে গেল। একেকটা ক্র্যাকার্সের উপরে বসে গেল দু'টা মজার হালুয়ার স্তর। তার উপরে উড়ে এসে জুরে বসলো কিছু গ্রেটিং করা গাজর।
প্রথম বাইটটাই বলে দিলো আইডিয়াটা ভালো ছিল! হালুয়ার মিষ্টি-ভাবটা মুখে আসার সাথে সাথেই ক্র্যাকার্সের মচমচ! চকোলেটের বাক্সের মতো কিছুটা সাসপেঞ্জ রাখার চেষ্টা করলাম। হালুয়াগুলি মিক্স-এন্ড-ম্যাচ করে দিলাম। একেকটা আলাদা ক্র্যাকার্সের উপরে একেক হালুয়ার কম্বিনেশন। মুখে দেবার পর আবিষ্কার করলাম ওখানে কি কি ছিল। খাবার তৈরি করতে করতে গল্প সবসময় হয় না। তবে সেদিন হয়েছিল; হয়েছিল এই হালুয়া-ক্র্যাকার্সের (Halua Cracker Bites) বদৌলতেই। আর এটা কিন্তু সত্যি সত্যিই গল্প করে খাওয়ার জিনিস। সবগুলি একসাথে বানাতে কিন্তু কিছু সময় নেবে। বানাতে বানাতে প্রথমে বানানোটা কিন্তু বেশ নরম হয়ে যাবে। তখন কিন্তু ক্র্যাকার্সের মচমচে-ভাবটা থাকবে না। তাই এক হাতে বানান, আর আরেক হাতে মুখে পুড়তে থাকুন! এটা প্রায় আসক্তির মতো! ক্র্যাকার্স বা হালুয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত এটা থামানো মুসকিল!
ডেসার্ট বা এপেটাইজার বা বিকেল বা সন্ধ্যার খাবার হিসেবে এটা বেশ মজার বলেই আমাদের কাছে মনে হয়েছে। আশা করি এখনো এটা ট্রাই না করে থাকলে শিগগিরই করবেন। আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ভুলে যাবেন না যেন। পরের পোস্টের আগ পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছি।
এই ডেসার্ট এর প্রধান ব্যাপার হল বুদ্ধি ! একটু চিন্তা করে কি সুন্দর বেঁচে যাওয়া হালুয়াগুলোকে কাজে লাগানো গেলো... এই ব্যাপারটা অনেক ভালো লেগেছে... আর খাবারের রঙ দেখেই মন ভরে গেছে... :)
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ এত্ত সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য।
Deleteএখন নাহয় বেঁচে যাওয়া হালুয়া দিয়ে এটা করা গেল, এর পরের বারে কিন্তু হালুয়া বাঁচিয়ে রাখতে হবে এটা বানানোর জন্য! :D