১৩ জুন ২০১৩
আমাদের সবার বাড়িতেই সম্ভবত এই ব্যাপারটা ঘটে। এবং হয়তো বেশ নিয়মিতই ঘটে। খাবার একদিনের পুরোনো হয়ে গেল। নষ্ট হয়নি, কিন্তু স্বাদও পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় খাবার নষ্ট করবো? সেটাও তো ভালো কাজ না। ঠিক এমন সময়ে আইডিয়ার বাতি জ্বলে উঠলো! রান্না করা রুই মাছের এই তরকারি থেকে নতুন কিছু বানিয়ে ফেললে কেমন হয়? হুমম... যেমন ভাবা তেমনি কাজ। শুরু হয়ে গেল প্রসেস।
তরকারির ঝোল থেকে শুধু মাছ তুলে নিয়ে কাঁটা বেছে ফেললাম। যেহেতু ফুল কুকড মাছ, তাই চেহারাটা হলদেটে ধরণের হয়েছে। কয়েকট আলুও সিদ্ধ করে ভর্তা করে নিলাম। এখানে পিঁয়াজ বেরেস্তা ব্যবহার করেছি; এবং বেরেস্তা করার সময়ই তাতে কাঁচা মরিচ দিয়ে দিয়েছিলাম।
মাছের সাথে আলু ভর্তা, বেরেস্তা, গরম মসলা গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, দারুচিনি গুঁড়া, লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। অনেকে ইচ্ছা করলে ডিমও দিতে পারেন; সাথে ময়দাও দিতে পারেন। আমি অবশ্য ডিম বা ময়দার কোনটিই ব্যবহার করিনি।
পরে এতে ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা কুঁচি করে কেটে দিই যাতে পাতাগুলি একেবারে মিশে না যায়।
এখন মাছ-আলুর মিশ্রণটিকে আঙ্গুলের মত আকৃতি দিলাম, কারণ আমি এটাকে ফিস সিঙ্গার বানাতে চাচ্ছি। ফিস ফিঙ্গারগুলিকে এখন ব্রেডক্রামে গড়িয়ে তার উপরে কর্ণফ্লাওয়ার ছিটিয়ে দিই। চূলায় তেল গরম করে ডুবো তেলে একটা একটা করে ভেজে নিলাম। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল একদিনের পুরোনো মাছের তরকারি থেকে বানানো ফিস ফিঙ্গার!
খেতে কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছিল! পুরোনো তরকারি এভাবে এত মজা করে খেতে পারবো, সেটা কিন্তু আগে বুঝিনি। যাই হোক, আজ এ পর্যন্তই। আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন!
আমাদের সবার বাড়িতেই সম্ভবত এই ব্যাপারটা ঘটে। এবং হয়তো বেশ নিয়মিতই ঘটে। খাবার একদিনের পুরোনো হয়ে গেল। নষ্ট হয়নি, কিন্তু স্বাদও পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় খাবার নষ্ট করবো? সেটাও তো ভালো কাজ না। ঠিক এমন সময়ে আইডিয়ার বাতি জ্বলে উঠলো! রান্না করা রুই মাছের এই তরকারি থেকে নতুন কিছু বানিয়ে ফেললে কেমন হয়? হুমম... যেমন ভাবা তেমনি কাজ। শুরু হয়ে গেল প্রসেস।
তরকারির ঝোল থেকে শুধু মাছ তুলে নিয়ে কাঁটা বেছে ফেললাম। যেহেতু ফুল কুকড মাছ, তাই চেহারাটা হলদেটে ধরণের হয়েছে। কয়েকট আলুও সিদ্ধ করে ভর্তা করে নিলাম। এখানে পিঁয়াজ বেরেস্তা ব্যবহার করেছি; এবং বেরেস্তা করার সময়ই তাতে কাঁচা মরিচ দিয়ে দিয়েছিলাম।
মাছের সাথে আলু ভর্তা, বেরেস্তা, গরম মসলা গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, দারুচিনি গুঁড়া, লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। অনেকে ইচ্ছা করলে ডিমও দিতে পারেন; সাথে ময়দাও দিতে পারেন। আমি অবশ্য ডিম বা ময়দার কোনটিই ব্যবহার করিনি।
পরে এতে ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা কুঁচি করে কেটে দিই যাতে পাতাগুলি একেবারে মিশে না যায়।
এখন মাছ-আলুর মিশ্রণটিকে আঙ্গুলের মত আকৃতি দিলাম, কারণ আমি এটাকে ফিস সিঙ্গার বানাতে চাচ্ছি। ফিস ফিঙ্গারগুলিকে এখন ব্রেডক্রামে গড়িয়ে তার উপরে কর্ণফ্লাওয়ার ছিটিয়ে দিই। চূলায় তেল গরম করে ডুবো তেলে একটা একটা করে ভেজে নিলাম। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল একদিনের পুরোনো মাছের তরকারি থেকে বানানো ফিস ফিঙ্গার!
খেতে কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছিল! পুরোনো তরকারি এভাবে এত মজা করে খেতে পারবো, সেটা কিন্তু আগে বুঝিনি। যাই হোক, আজ এ পর্যন্তই। আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন!
আসলেই যুতসই একটা পোস্ট এইটা ।ফেলনা থেকে খেলনার মতন , বিস্বাদ থেকে সুস্বাদ :D
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য!
Deleteআসলেই ওই বিস্বাদ থেকেই কিন্তু এর শুরু। তবে বানাবার পরে এটার স্বাদ কিন্তু সেই রকম ছিল! :)