২৩ জুন ২০১৩
এর আগে ব্রেকফাস্টের টেবিলে আমরা অতি সাধারণ চিচিঙ্গা ভাজি আর ডিম পোঁচ নিয়ে গল্প করেছিলাম। তারও আগে লিখেছিলাম অতি সাধারণ বাঁধাকপি ভাজি নিয়ে। আমাদের সবারই সকালের নাস্তা নিয়ে কিছু না কিছু গল্প রয়েছে। আমরা সেই গল্পগুলিই এখানে শেয়ার করছি। আমাদের ক্ষেত্রে সকালের নাস্তার সাথে মায়ের হাতের একটা স্পর্শ আমরা সবসময়ই খুঁজে পেয়েছি। ব্রেকফাস্টটাকে একটু মজাদার করার জন্য মা কত কিছুই না করেছেন। আর কতবারই না সেই রকম সকাল গেছে যখন কোন রকমে নাস্তা গলায় পুড়ে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছি। মা চিতকার করে বলেছেন, "খাওয়াটা তো শেষ করে যা!" তখন বুঝিনি সেই সময়গুলি একসময় সোনালী সৃতি হয়ে যাবে। আসলে সময় এমন একটা জিনিস, যা যেকোন তুচ্ছ ঘটনাকেও স্বর্ণাক্ষরে লিখে ফেলতে পারে।
স্বাদের তৃপ্তি আনার জন্যে মা সবসময় চিন্তা করেছেন - কাল সকালের নাস্তা কি হবে। সকালের নাস্তাটা ছিল একটা ম্যাজিক বাক্সের মতো - ভেতর থেকে কি বেরুবে সকাল হবার আগে জানা যেত না! আলুর প্রতি একটা আকর্ষণ ছোটবেলা থেকেই ছিল, তাই ব্রেকফাস্টে আলুর আইটেম দেখলে মনটা নেচে উঠতো। আর আলুর আইটেম বলতে গেলে আলুর দমের কথা না বললে কি গল্প পরিপূর্ণ হবে? কি সাধারণ একটা খাবার, তারপরেও তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া হয়নি এমন সকাল মনে হয় কোন দিনই আসেনি। মা'র হাতের যাদু মনে হয় এটাকেই বলে - সাধারণতঃ আসাধারণ। অসাধারণ না হওয়াটাই ছিল একটা নিউজ!
আলুর দমের রেসিপি একেক জনের কাছে একেক রকম থাকতে পারে। এক মা'কে (শরিফুন নাহার) দেখেছি তিনি আলু ভেঙ্গে ছোট ছোট করে আলুর দম বানাতেন; আর আরেক মা'কে (নিলুফা কামাল) দেখেছি বেশ বড় বড় টুকরা করে পরিবেশন করতে। বাবা বড় টুকরা পছন্দ করেন বলেই মা টুকরাগুলিকে ওরকম রাখতেন। আসলে প্রত্যেকটি ফ্যামিলির রেসিপিগুলিই একেকটি গল্প। খাবার-দাবার যেমন আমাদের পরিবারকে নিয়ে কথা বলে, তেমনি কথা বলে সেই পরিবার যেখান থেকে এসেছে সেই এলাকার। একই খাবার দেশের একেক জায়গায় যেমন একেক রকমভাবে রান্না করা হয়, তেমনি একেক রকমভাবে পরিবেশন ও খাওয়া হয়।
সকালের নাস্তা নিয়ে আপনাদের সকলেরই গল্প রয়েছে নিশ্চয়। আশা করি শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। আবারও আরও এক ব্রেকফাস্ট নিয়ে লিখবো আশা রাখি। আজ এখানেই বিদায়।
এর আগে ব্রেকফাস্টের টেবিলে আমরা অতি সাধারণ চিচিঙ্গা ভাজি আর ডিম পোঁচ নিয়ে গল্প করেছিলাম। তারও আগে লিখেছিলাম অতি সাধারণ বাঁধাকপি ভাজি নিয়ে। আমাদের সবারই সকালের নাস্তা নিয়ে কিছু না কিছু গল্প রয়েছে। আমরা সেই গল্পগুলিই এখানে শেয়ার করছি। আমাদের ক্ষেত্রে সকালের নাস্তার সাথে মায়ের হাতের একটা স্পর্শ আমরা সবসময়ই খুঁজে পেয়েছি। ব্রেকফাস্টটাকে একটু মজাদার করার জন্য মা কত কিছুই না করেছেন। আর কতবারই না সেই রকম সকাল গেছে যখন কোন রকমে নাস্তা গলায় পুড়ে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছি। মা চিতকার করে বলেছেন, "খাওয়াটা তো শেষ করে যা!" তখন বুঝিনি সেই সময়গুলি একসময় সোনালী সৃতি হয়ে যাবে। আসলে সময় এমন একটা জিনিস, যা যেকোন তুচ্ছ ঘটনাকেও স্বর্ণাক্ষরে লিখে ফেলতে পারে।
স্বাদের তৃপ্তি আনার জন্যে মা সবসময় চিন্তা করেছেন - কাল সকালের নাস্তা কি হবে। সকালের নাস্তাটা ছিল একটা ম্যাজিক বাক্সের মতো - ভেতর থেকে কি বেরুবে সকাল হবার আগে জানা যেত না! আলুর প্রতি একটা আকর্ষণ ছোটবেলা থেকেই ছিল, তাই ব্রেকফাস্টে আলুর আইটেম দেখলে মনটা নেচে উঠতো। আর আলুর আইটেম বলতে গেলে আলুর দমের কথা না বললে কি গল্প পরিপূর্ণ হবে? কি সাধারণ একটা খাবার, তারপরেও তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া হয়নি এমন সকাল মনে হয় কোন দিনই আসেনি। মা'র হাতের যাদু মনে হয় এটাকেই বলে - সাধারণতঃ আসাধারণ। অসাধারণ না হওয়াটাই ছিল একটা নিউজ!
আলুর দমের রেসিপি একেক জনের কাছে একেক রকম থাকতে পারে। এক মা'কে (শরিফুন নাহার) দেখেছি তিনি আলু ভেঙ্গে ছোট ছোট করে আলুর দম বানাতেন; আর আরেক মা'কে (নিলুফা কামাল) দেখেছি বেশ বড় বড় টুকরা করে পরিবেশন করতে। বাবা বড় টুকরা পছন্দ করেন বলেই মা টুকরাগুলিকে ওরকম রাখতেন। আসলে প্রত্যেকটি ফ্যামিলির রেসিপিগুলিই একেকটি গল্প। খাবার-দাবার যেমন আমাদের পরিবারকে নিয়ে কথা বলে, তেমনি কথা বলে সেই পরিবার যেখান থেকে এসেছে সেই এলাকার। একই খাবার দেশের একেক জায়গায় যেমন একেক রকমভাবে রান্না করা হয়, তেমনি একেক রকমভাবে পরিবেশন ও খাওয়া হয়।
সকালের নাস্তা নিয়ে আপনাদের সকলেরই গল্প রয়েছে নিশ্চয়। আশা করি শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। আবারও আরও এক ব্রেকফাস্ট নিয়ে লিখবো আশা রাখি। আজ এখানেই বিদায়।
Lovely, honest, unpretentious photography :)
ReplyDeleteআম্মু আলুর দম বানাতেন পিচ্চি পিচ্চি সাইজের আস্ত নতুন আলু দিয়ে। কী যে তার স্বাদ! প্রায় বিশ বছর হয়ে গেল সেই আলুর দম খাইনা :(
আসলেই, প্রত্যেকটা ফ্যামিলিরই আলাদা গল্প আছে সকালের খাবার নিয়ে। আর সেই গল্প নিয়েই আমরা বেঁচে থাকি। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই কমেন্টের জন্য!
Delete