০৬ মে ২০১৩
চিকেন তো সবসময়ই রান্না হচ্ছে বাসায়। কিন্তু সবসময় কি আলাদা করে কিছু করা যায়? হয়তো যায়; হয়তো যায়না। আমরা তো আর রেসিপি এক্সপার্ট না, তাই আমাদের দৌড় খুব একটা বেশিদূর নয়। তবুও চেষ্টার ত্রুটি থাকে না। নতুন একটা স্বাদ কে না পেতে চায় বলুন? তবে এটা ঠিক যে কতটুকু নতুন কিছু করা হবে সেটা কিছুটা হলেও নির্ভর করবে কতটুকু কষ্ট করতে হবে সেটার উপরে। মাঝে মাঝে বেশী সময় লাগার কারণে, অথবা বেশী জটিল প্রসেস হবার কারণে নতুন কিছু করার বাসনা পেছনের সিটে জায়গা করে নেয়। যাইহোক, এই কষ্ট বা ঝামেলার চিন্তাটা থাকায় মাঝে মাঝে ভালো কিছু পাওয়া যায়। আর তেমনই কিছু একটা নিয়ে এবারের পোস্ট - সরিষা-পুদিনা চিকেন ফয়েল বারবিকিউ।
মুরগী বা চিকেন এমন একটা উপকরন যা রান্না করতে তেমন একটা সময় লাগে না, তবে ঘন্টাখানেক আগে মেরিনেট করে রাখলে মসলা ভালো ঢোকে। তাই চিকেনের টুকরাগুলিকে একটা আদা-রসুন বাঁটা, সরিষা বাঁটা, হলুদ-মরিচ-ধনে গুঁড়া, পেঁয়াজ কুঁচি, এলাচ-দারুচিনি গুঁড়া, লেবুর রস, পরিমানমত লবণ আর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে মেরিনেট করে রেখে দিই।
রান্না তো সবসময় চূলার উপরে হাঁড়িতে অথবা কয়লার উপরে সিকে করে থাকি। তাই ভাবলাম আজ অন্য কিছু চেষ্টা করে দেখি। সেই জন্য ফয়েল পেপারের উপর মুরগির টুকরাগুলি বিছাই। এখন মুরগির উপরে পুদিনা পাতা কুঁচি আর ফালি করা কাঁচা মরিচ দিই। উদ্দেশ্য সরিষার স্বাদের পাশাপাশি পুদিনার ফ্লেভারটা রাখতে পারি কিনা।
আজ যেহেতু রান্নাটা ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে সরাসরি গ্যাসের চূলার উপরে করবো, তাই একসাথে বেশী মুরগির টুকরা নেব না। আকারভেদে সর্বোচ্চ চার/পাঁচ টুকরা মেরিনেট মুরগি ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে নিই যাতে সহজে ফয়েল পেপারের প্যাকেটটি চূলার উপরে উল্টে-পাল্টে দিতে পারি। খেয়াল রেখেছি যাতে ফয়েল পেপারটি যেন ফুঁটা না থাকে; তাতে চূলার আগুন সরাসরি মুরগির গায়ে লাগলে মসলা ও মুরগি পুড়ে যেতে পারে।
১৫ মিনিটের মধ্যে চার-পাঁচবার প্যাকেটটি উলটে দিই। রান্না করা গোস্তের একটা হাল্কা ফ্লেভার আমার নাকে আসলেই বুঝতে পারি যে আমার রান্না সম্পন্ন হয়েছে। গরম ভাতের সাথে যখন চিকেনের প্রথম বাইটটি নিই, তখনি বুঝতে পারি যে এক্সপেরিমেন্ট সাকসেসফুল। মুরগিতে সরিষার ঝাঁঝও রয়েছে, আবার সাথে রয়েছে পুদিনার মোহনীয় ফ্লেভার। পুরোপুরি বারবিকিউ না হলেও সরিষা-পুদিনা চিকেন ফয়েল বারবিকিউ!
ছবি নিয়েই যেহেতু আমাদের প্রধান কাজ, তাই ছবি তোলার পেছনে কিছুটা হলেও সময় ব্যয় করা লাগে। তবে সবচেয়ে কষ্টকর হলো তৈরি খাবার সামনে রেখে ছবি তোলা। ক্ষিধের ব্যাপারটা তো আছেই, কিন্তু খাবারের ছবি তুলতে তুলতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়াটা আসলেই পেইনফুল!
আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামত আমাদের কাজ করে যাবার শক্তি যোগায়। আশা করি আপনারা আমাদের এই শক্তিটুকু সরবরাহ করবেন। ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই।
আমাদের চিকেন নিয়ে লেখা অন্য পোস্টগুলিঃ
বাঁটা পিঁয়াজে চিকেন ভুনা
চিলি চিকেনের সাথে গাজর
পাস্তার সাথে চিকেন ব্রোস্ট আর ভেজিটেবল
স্টাফড চিকেন ব্রেস্ট, সাথে পনির ও পুদিনা
চিকেন সালাদ উইথ সামার ভেজি
চিলি-লাইম চিকেন
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
পেস্তো পাস্তার সাথে চিকেন বল
চিকেন তো সবসময়ই রান্না হচ্ছে বাসায়। কিন্তু সবসময় কি আলাদা করে কিছু করা যায়? হয়তো যায়; হয়তো যায়না। আমরা তো আর রেসিপি এক্সপার্ট না, তাই আমাদের দৌড় খুব একটা বেশিদূর নয়। তবুও চেষ্টার ত্রুটি থাকে না। নতুন একটা স্বাদ কে না পেতে চায় বলুন? তবে এটা ঠিক যে কতটুকু নতুন কিছু করা হবে সেটা কিছুটা হলেও নির্ভর করবে কতটুকু কষ্ট করতে হবে সেটার উপরে। মাঝে মাঝে বেশী সময় লাগার কারণে, অথবা বেশী জটিল প্রসেস হবার কারণে নতুন কিছু করার বাসনা পেছনের সিটে জায়গা করে নেয়। যাইহোক, এই কষ্ট বা ঝামেলার চিন্তাটা থাকায় মাঝে মাঝে ভালো কিছু পাওয়া যায়। আর তেমনই কিছু একটা নিয়ে এবারের পোস্ট - সরিষা-পুদিনা চিকেন ফয়েল বারবিকিউ।
মুরগী বা চিকেন এমন একটা উপকরন যা রান্না করতে তেমন একটা সময় লাগে না, তবে ঘন্টাখানেক আগে মেরিনেট করে রাখলে মসলা ভালো ঢোকে। তাই চিকেনের টুকরাগুলিকে একটা আদা-রসুন বাঁটা, সরিষা বাঁটা, হলুদ-মরিচ-ধনে গুঁড়া, পেঁয়াজ কুঁচি, এলাচ-দারুচিনি গুঁড়া, লেবুর রস, পরিমানমত লবণ আর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে মেরিনেট করে রেখে দিই।
রান্না তো সবসময় চূলার উপরে হাঁড়িতে অথবা কয়লার উপরে সিকে করে থাকি। তাই ভাবলাম আজ অন্য কিছু চেষ্টা করে দেখি। সেই জন্য ফয়েল পেপারের উপর মুরগির টুকরাগুলি বিছাই। এখন মুরগির উপরে পুদিনা পাতা কুঁচি আর ফালি করা কাঁচা মরিচ দিই। উদ্দেশ্য সরিষার স্বাদের পাশাপাশি পুদিনার ফ্লেভারটা রাখতে পারি কিনা।
আজ যেহেতু রান্নাটা ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে সরাসরি গ্যাসের চূলার উপরে করবো, তাই একসাথে বেশী মুরগির টুকরা নেব না। আকারভেদে সর্বোচ্চ চার/পাঁচ টুকরা মেরিনেট মুরগি ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে নিই যাতে সহজে ফয়েল পেপারের প্যাকেটটি চূলার উপরে উল্টে-পাল্টে দিতে পারি। খেয়াল রেখেছি যাতে ফয়েল পেপারটি যেন ফুঁটা না থাকে; তাতে চূলার আগুন সরাসরি মুরগির গায়ে লাগলে মসলা ও মুরগি পুড়ে যেতে পারে।
১৫ মিনিটের মধ্যে চার-পাঁচবার প্যাকেটটি উলটে দিই। রান্না করা গোস্তের একটা হাল্কা ফ্লেভার আমার নাকে আসলেই বুঝতে পারি যে আমার রান্না সম্পন্ন হয়েছে। গরম ভাতের সাথে যখন চিকেনের প্রথম বাইটটি নিই, তখনি বুঝতে পারি যে এক্সপেরিমেন্ট সাকসেসফুল। মুরগিতে সরিষার ঝাঁঝও রয়েছে, আবার সাথে রয়েছে পুদিনার মোহনীয় ফ্লেভার। পুরোপুরি বারবিকিউ না হলেও সরিষা-পুদিনা চিকেন ফয়েল বারবিকিউ!
ছবি নিয়েই যেহেতু আমাদের প্রধান কাজ, তাই ছবি তোলার পেছনে কিছুটা হলেও সময় ব্যয় করা লাগে। তবে সবচেয়ে কষ্টকর হলো তৈরি খাবার সামনে রেখে ছবি তোলা। ক্ষিধের ব্যাপারটা তো আছেই, কিন্তু খাবারের ছবি তুলতে তুলতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়াটা আসলেই পেইনফুল!
আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামত আমাদের কাজ করে যাবার শক্তি যোগায়। আশা করি আপনারা আমাদের এই শক্তিটুকু সরবরাহ করবেন। ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই।
আমাদের চিকেন নিয়ে লেখা অন্য পোস্টগুলিঃ
বাঁটা পিঁয়াজে চিকেন ভুনা
চিলি চিকেনের সাথে গাজর
পাস্তার সাথে চিকেন ব্রোস্ট আর ভেজিটেবল
স্টাফড চিকেন ব্রেস্ট, সাথে পনির ও পুদিনা
চিকেন সালাদ উইথ সামার ভেজি
চিলি-লাইম চিকেন
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
পেস্তো পাস্তার সাথে চিকেন বল
Ha ha ha ... New face of Bhai. "When photographer is the cook".
ReplyDeleteha ha ha.... the photographer is still the photographer.... the cook is the food stylist/art director.... :)
Deleteএটা একটা 'মাথা-নষ্ট' রেসিপি ! পুদিনার ঘ্রান আমাকে অস্থির করে তুলে! দেখেন ঘ্রান পেয়ে এখানে চলে এসেছি :)
ReplyDeleteএই অসহ্য মজার চিকেন খাওয়ার জন্য আমি সুদূর চীন দেশেও যেতে পারি :)
হা হা হা! এটা আসলেই মজা ছিল। আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। গ্যারান্টি দিচ্ছি, মজা হবে।
Deleteআর এই আসহ্য সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! :D