২২ মে ২০১৩
একনাগারে সকালের নাস্তায় রুটি-ভাজি-ডিম-ডাল ভুনা খেয়ে কিছুটা একঘেয়েমি চলে আসছিল। সকালের নাস্তার মেনু নিয়ে একদিন আলাপ করছিলাম। কথাটা মা'র (শরীফুন নাহার) কানে গেল। মা বললেন, কালকে মেনুতে নতুন কিছু করা যাক। সকাল থেকেই কিছুটা বৃষ্টি বৃষ্টি আবহাওয়া থাকায় মেনুতে স্থান পেল খাসির নেহারি। এই খাবারটা খুব মুখরোচক হলেও এতে কোলেস্টেরলের বেশ আধিক্য রয়েছে। তাই এটা রেগুলার আইটেম হিসেবে রাখা সম্ভব নয়। তবে মাঝে মধ্যে চলতেই পারে। তাতে মেনুতে বৈচিত্র আসে; মুখে আসে স্বাদের ভিন্নতা।
খাসির পায়াগুলি ভালোমত পরিষ্কার করে নিলেন মা। এখানেও মা প্রেসার কুকার ব্যবহার করেছেন। পায়াগুলি প্রেসার কুকারে দিয়ে তাতে লবণ, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা, তেল এবং পরিমানমত পানি দিয়ে দেড় ঘন্টার জন্য চূলায় চাপিয়ে দিলেন।
ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি যে মা রান্নায় কম মসলা ব্যবহার করেন। তাতে কিন্তু স্বাদের বিন্দুমাত্র কমতি থাকে না। হয়তো এটাই আমার মায়ের হাতের রান্নার যাদু। কারণ, দেড় ঘন্টা পর যখন চূলা থেকে প্রেসার কুকারটা নামানো হলো আর বাটিতে পাঁচ ফোড়ন গুঁড়া ও ধনে পাতা কুঁচি দিয়ে নেহারিটা আমার সামনে দেয়া হলো, তখন নেহারির গন্ধই বলে দেয় এর স্বাদের মাত্রা কতখানি। তাড়াতাড়ি ছবি তোলার পর্ব শেষ করলাম; কারণ এতো সুঘ্রাণের মধ্যে খালি পেটে কাজ করা কষ্টকর। গরম গরম রুটির সাথে নেহারি... মমম... অমৃত!
আজ এ পর্যন্তই। আরও মাদার'স রেসিপি আসছে সামনের দিনগুলিতে। আর হ্যাঁ, মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামত আমাদের কতটা আনুপ্রাণিত করে সেটা বলা মুসকিল।
একনাগারে সকালের নাস্তায় রুটি-ভাজি-ডিম-ডাল ভুনা খেয়ে কিছুটা একঘেয়েমি চলে আসছিল। সকালের নাস্তার মেনু নিয়ে একদিন আলাপ করছিলাম। কথাটা মা'র (শরীফুন নাহার) কানে গেল। মা বললেন, কালকে মেনুতে নতুন কিছু করা যাক। সকাল থেকেই কিছুটা বৃষ্টি বৃষ্টি আবহাওয়া থাকায় মেনুতে স্থান পেল খাসির নেহারি। এই খাবারটা খুব মুখরোচক হলেও এতে কোলেস্টেরলের বেশ আধিক্য রয়েছে। তাই এটা রেগুলার আইটেম হিসেবে রাখা সম্ভব নয়। তবে মাঝে মধ্যে চলতেই পারে। তাতে মেনুতে বৈচিত্র আসে; মুখে আসে স্বাদের ভিন্নতা।
খাসির পায়াগুলি ভালোমত পরিষ্কার করে নিলেন মা। এখানেও মা প্রেসার কুকার ব্যবহার করেছেন। পায়াগুলি প্রেসার কুকারে দিয়ে তাতে লবণ, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা, তেল এবং পরিমানমত পানি দিয়ে দেড় ঘন্টার জন্য চূলায় চাপিয়ে দিলেন।
ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি যে মা রান্নায় কম মসলা ব্যবহার করেন। তাতে কিন্তু স্বাদের বিন্দুমাত্র কমতি থাকে না। হয়তো এটাই আমার মায়ের হাতের রান্নার যাদু। কারণ, দেড় ঘন্টা পর যখন চূলা থেকে প্রেসার কুকারটা নামানো হলো আর বাটিতে পাঁচ ফোড়ন গুঁড়া ও ধনে পাতা কুঁচি দিয়ে নেহারিটা আমার সামনে দেয়া হলো, তখন নেহারির গন্ধই বলে দেয় এর স্বাদের মাত্রা কতখানি। তাড়াতাড়ি ছবি তোলার পর্ব শেষ করলাম; কারণ এতো সুঘ্রাণের মধ্যে খালি পেটে কাজ করা কষ্টকর। গরম গরম রুটির সাথে নেহারি... মমম... অমৃত!
আজ এ পর্যন্তই। আরও মাদার'স রেসিপি আসছে সামনের দিনগুলিতে। আর হ্যাঁ, মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামত আমাদের কতটা আনুপ্রাণিত করে সেটা বলা মুসকিল।
No comments:
Post a Comment