Sunday 19 May 2013

মগজ ভুনা... মাদার'স রেসিপি বলে কথা!

১৯ মে ২০১৩

আমাদের দেশের বেশীরভাগ রাধুনীরাই যে রান্নার কলাকৌশল তাদের মা-শাশুড়ীদের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন সেটা বলার জন্য কোন সার্ভের দরকার বলে মনে হয় না। পরের জেনারেশনের মধ্যে সেটা পরিবর্তন হলেও হতে পারে, তবে এখনও আমাদের দেশের সেই ঐতিহ্য বজায় আছে।  মা যেমন চান কন্যাকে তার কিছু স্পেশাল রেসিপি শিখিয়ে দিতে, তেমনি শাশুড়ীও চান তার পুত্রবধূর হাতে তার মতই রান্নার ছোঁয়া থাকুক। আমাদের বাড়িতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।



আজ যে রেসিপিটা মা (শরীফুন নাহার) শেখাতে যাচ্ছেন তা হলো আপনার আমার সবার প্রিয় 'দি মগজ ভুনা'! যেহেতু মগজে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের আধিক্য রয়েছে, তাই এটা সবসময় খাবার রেসিপি নয়। এবারে বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাসে বেশ বৃষ্টি হয়েছে (প্রধাণত নিম্নচাপের কারনে), যেটা সবসময় হয় না।  গরমের মধ্যে খুব বেশী মসলাদার খাবার খেয়ে আরাম পাওয়া যায় না। বৃষ্টির কারনে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকায় আজকের প্রধান মেনুতে গরুর মগজ ভুনার জায়গা হয়েছে। একটু নড়েচড়ে বসলাম, কারন আজ মা'র কাছ থেকে আরও একটি রেসিপি পেতে যাচ্ছি।



মগজটা পানি দিয়ে ভালোমত ধুয়ে একটু বেশী পানিতে হলুদ গুঁড়া দিয়ে মা সিদ্ধ করতে চূলায় বসালেন। মগজটি সিদ্ধ হতে প্রায় দশ-পনের মিনিটের মত লাগলো।



সিদ্ধ হবার পর পানি ঝরিয়ে মগজটি তুলে চৌকোনা করে ছোট ছোট টুকরা করলেন মা - দেখে ঠিক পনিরের টুকরার মত মনে হচ্ছিলো।



মা চূলায় এবার একটি নন-স্টিক কড়াই বসালেন। তাতে প্রায় এক থেকে দেড় কাপ পরিমাণ পিঁয়াজ কলি তেলে ছাড়লেন। সাথে আদা-রসুন বাটা, লবণ, আস্ত কাঁচা মরিচ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিয়ে মসলাগুলি খুব ভালোমত কসিয়ে নিলেন।



কসানো মসলায় মগজের টুকরাগুলি দিয়ে ভালোমত নেড়েচেড়ে আরও ৫ মিনিট নাড়লেন। কি অবাক! এতো সহজেই মগজ ভুনা হয়ে গেলো?? উপরে একটু ধনে পাতা কুঁচি ছিটিয়ে দিলেন। এত সহজে রান্না হলেও টেস্ট কিন্তু ছিল সেইরকম! আর ছোট্ট লামিসা তো খেয়ে মা'কে জড়িয়ে ধরলো; তোতলা তোতলা মুখে বলল, 'দিদা, তোমার রান্নাটা অনেক মজা হয়েছে'।

আজ এ পর্যন্তুই। আপনারা মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতমতই আমাদের টিকিয়ে রেখেছে।

6 comments:

  1. মাধুকরী19 May 2013 at 23:17

    নানু র রান্নার হাত বরাবরই ভাল । আরও মজার বিষয় হলো, ছোটবেলা থেকেই সবসময় নানুর নখে মেহেদী দেখে আসছি । আজও তার ব্যতিক্রম নেই । :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. অসংখ্য ধন্যবাদ, খালা... :)
      আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে আপনি হাতের মেহেদী খেয়াল করবেন... হা হা :)

      Delete
  2. এইটা আমিও শিখেছি আমার শাশুরি'র কাছে... আবার আমার আম্মা করে আরেকটু অন্যরকম করে... কিন্তু দুইটা রেসিপি ই মজার ।

    আপনাদের ধন্যবাদ সহজ কিন্তু মজার রেসিপির জন্য । :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে......
      সেটাই... সবারই একটা স্টোরি আছে... :)

      Delete
  3. My favrouite

    ReplyDelete