০২ মে ২০১৩
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি যে ফলের রাজা নাকি আম। এখন নিজেই সবকিছু দেখছি, জানছি, বুঝছি - আসলেই ফলের রাজা আম। এমন একটা ফল যেটা কাঁচা অবস্থায় আমাদের মনোরঞ্জন শুরু করে একেবারে পেকে গিয়েও আমাদের মনে গেঁথে থাকে। আজকাল আমাদের বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর বদৌলতে আমরা দেখি যে আমের তৃষ্ণা মেটাতে বোতলজাত আম সারাবছরই রয়েছে হাতের নাগালে। এতে সারাবছর তৃষ্ণা মিটবে ঠিকই, কিন্তু ষড়ঋতুর বাংলাদেশে টাটকা ফল বা শাকসব্জির স্বাদ কি বোতলের ফলে মেটানো সম্ভব? বিশেষ করে কাঁচা আমের কথা বললে কিন্তু ওই টাটকা সবুজ ফলটিই চোখের সামনে ভাসে।
আমের সাথে ছোটবেলার স্মৃতি কত যে জড়িয়ে আছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। ঝড়ের দিনে গাছে ঢিল দিয়ে কাঁচা আম পাড়া; লবণ-মরিচ মাখিয়ে এক চোখ বন্ধ করে সেই আম চেটেপুটে শেষ করা; আমের আটি দিয়ে বাঁশি বানিয়ে বাজানো - এসব আজ শুধুই স্মৃতি। সেই স্মৃতির কিছুটা হলেও মনে পড়ে যায় আমের রাজ্যে বেড়াতে গেলে। আর আমের রাজ্য বলতে কিন্তু আমি চাপাই নবাবগঞ্জকেই বোঝাচ্ছি। সেখানে যদিও ঢিল দিয়ে আম পাড়ার কোন সংস্কৃতি নেই, তবে কচি কচি ছেলেমেয়েদের হাতের কাছে কচি কচি আমগুলি ঝুলতে দেখে মজাই লাগে। ওখানে আম একটা অর্থকরী ফসল, তাই সময় হবার আগে কেউ গাছ থেকে আম পাড়ে না। আর যদি কোন পর্যটক ভুলবশতঃ আম পেড়ে ফেলেন, তার জন্যে ছোটখাটো একটা জরিমানা অপেক্ষা করছে। ২০০৭ আর ২০০৮ সালে চাপাই গিয়ে দু'টা ব্লগ লিখেছিলাম। আরও অন্য সময়ও গিয়েছি; তবে ব্লগ লিখা হয়নি।
যাই হোক, আম নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না। আর এখনো গ্রীষ্মের অনেক বাকি আছে; সুতরাং আম নিয়ে আরও অনেক কিছু লিখবো আশা রাখি। আজ একটা ছোট্ট রেসিপি দিয়ে শেষ করবো। এমন কোন রেসিপি না যেটা পোস্ট করে রন্ধনশিল্পী বনে যেতে পারি। আমরা খাবারের ছবি তুলতে পছন্দ করি; পছন্দ করি খাবার নিয়ে লিখতে। তাই এই প্রয়াস।
যা গরম পরেছে, তাতে ঠান্ডা শরবতের কথা শুনলেই মন ভালো হয়ে যাবার কথা। আর সেটা যদি হয় কাঁচা আমের শরবত, তখন জিভে পানি আসলে দোষ দেওয়া যায় না। তাই ফ্রিজ খুলে দু'টা আম বের করে নিলাম। সুন্দর করে ছিলে সেগুলাকে প্রস্তুত করলাম শরবতের জন্য। আমের কুঁচিগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে সাথে যোগ করলাম জিরা গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, পুদিনা পাতা কুঁচি, আর লবণ।
যেহেতু কাঁচা আমে রস কম থাকে, তাই সামান্য কিছু পানি দিয়ে আগে উপকরনগুলি ব্লেন্ড করে নিই। আমাদের ক্ষুদে লামিসা সহ সাড়ে তিন জনের জন্য পানি যোগ করি। আবার ব্লেন্ড... চেখে মনে হল লবণটা একটু কম। সাধারণ লবণ নয়, বিট লবণটাই আরও একটু নিলাম। আবার ব্লেন্ড... পার্ফেকশন!
যেহেতু আমরা শরবতটাকে Smoothie করে না খেয়ে বরং Juice করে খাচ্ছি, তাই আঁশগুলি ছেঁকে নিলাম।
ব্যাস! হয়ে গেলো একটা ইয়ামি শরবত। এখন বরফ যোগে সার্ভ করলেই হলো।
আজ এই পর্যন্তই। গ্রীষ্মকালীন ফল-ফলাদি নিয়ে আরও অনেক লিখবো আশা রাখি। আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতই আমাদের এগিয়ে যেতে আনুপ্রেরণা দেয়।
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি যে ফলের রাজা নাকি আম। এখন নিজেই সবকিছু দেখছি, জানছি, বুঝছি - আসলেই ফলের রাজা আম। এমন একটা ফল যেটা কাঁচা অবস্থায় আমাদের মনোরঞ্জন শুরু করে একেবারে পেকে গিয়েও আমাদের মনে গেঁথে থাকে। আজকাল আমাদের বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর বদৌলতে আমরা দেখি যে আমের তৃষ্ণা মেটাতে বোতলজাত আম সারাবছরই রয়েছে হাতের নাগালে। এতে সারাবছর তৃষ্ণা মিটবে ঠিকই, কিন্তু ষড়ঋতুর বাংলাদেশে টাটকা ফল বা শাকসব্জির স্বাদ কি বোতলের ফলে মেটানো সম্ভব? বিশেষ করে কাঁচা আমের কথা বললে কিন্তু ওই টাটকা সবুজ ফলটিই চোখের সামনে ভাসে।
আমের সাথে ছোটবেলার স্মৃতি কত যে জড়িয়ে আছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। ঝড়ের দিনে গাছে ঢিল দিয়ে কাঁচা আম পাড়া; লবণ-মরিচ মাখিয়ে এক চোখ বন্ধ করে সেই আম চেটেপুটে শেষ করা; আমের আটি দিয়ে বাঁশি বানিয়ে বাজানো - এসব আজ শুধুই স্মৃতি। সেই স্মৃতির কিছুটা হলেও মনে পড়ে যায় আমের রাজ্যে বেড়াতে গেলে। আর আমের রাজ্য বলতে কিন্তু আমি চাপাই নবাবগঞ্জকেই বোঝাচ্ছি। সেখানে যদিও ঢিল দিয়ে আম পাড়ার কোন সংস্কৃতি নেই, তবে কচি কচি ছেলেমেয়েদের হাতের কাছে কচি কচি আমগুলি ঝুলতে দেখে মজাই লাগে। ওখানে আম একটা অর্থকরী ফসল, তাই সময় হবার আগে কেউ গাছ থেকে আম পাড়ে না। আর যদি কোন পর্যটক ভুলবশতঃ আম পেড়ে ফেলেন, তার জন্যে ছোটখাটো একটা জরিমানা অপেক্ষা করছে। ২০০৭ আর ২০০৮ সালে চাপাই গিয়ে দু'টা ব্লগ লিখেছিলাম। আরও অন্য সময়ও গিয়েছি; তবে ব্লগ লিখা হয়নি।
যাই হোক, আম নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না। আর এখনো গ্রীষ্মের অনেক বাকি আছে; সুতরাং আম নিয়ে আরও অনেক কিছু লিখবো আশা রাখি। আজ একটা ছোট্ট রেসিপি দিয়ে শেষ করবো। এমন কোন রেসিপি না যেটা পোস্ট করে রন্ধনশিল্পী বনে যেতে পারি। আমরা খাবারের ছবি তুলতে পছন্দ করি; পছন্দ করি খাবার নিয়ে লিখতে। তাই এই প্রয়াস।
যা গরম পরেছে, তাতে ঠান্ডা শরবতের কথা শুনলেই মন ভালো হয়ে যাবার কথা। আর সেটা যদি হয় কাঁচা আমের শরবত, তখন জিভে পানি আসলে দোষ দেওয়া যায় না। তাই ফ্রিজ খুলে দু'টা আম বের করে নিলাম। সুন্দর করে ছিলে সেগুলাকে প্রস্তুত করলাম শরবতের জন্য। আমের কুঁচিগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে সাথে যোগ করলাম জিরা গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, পুদিনা পাতা কুঁচি, আর লবণ।
যেহেতু কাঁচা আমে রস কম থাকে, তাই সামান্য কিছু পানি দিয়ে আগে উপকরনগুলি ব্লেন্ড করে নিই। আমাদের ক্ষুদে লামিসা সহ সাড়ে তিন জনের জন্য পানি যোগ করি। আবার ব্লেন্ড... চেখে মনে হল লবণটা একটু কম। সাধারণ লবণ নয়, বিট লবণটাই আরও একটু নিলাম। আবার ব্লেন্ড... পার্ফেকশন!
যেহেতু আমরা শরবতটাকে Smoothie করে না খেয়ে বরং Juice করে খাচ্ছি, তাই আঁশগুলি ছেঁকে নিলাম।
ব্যাস! হয়ে গেলো একটা ইয়ামি শরবত। এখন বরফ যোগে সার্ভ করলেই হলো।
আজ এই পর্যন্তই। গ্রীষ্মকালীন ফল-ফলাদি নিয়ে আরও অনেক লিখবো আশা রাখি। আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতই আমাদের এগিয়ে যেতে আনুপ্রেরণা দেয়।
দাদাবাড়ী থেকে আম এসেছে... কাঁচা আম। আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি। আমি স্কুল ব্যাগ এ দুইটা আম নিয়ে স্কুল এ গেলাম। টিফিন টাইম এ ঝালমুড়িওয়ালার থেকে লবন নিয়ে আসলাম বান্ধবীরা মিলে আম খাব বলে। কিন্তু আম তো কাটা না, ছুরি ও নাই, তাহলে উপায়? করলাম কি, আমটাকে দরজার চিপায় রেখে দরজাটা টান দিলাম! আম কয়েক টুকরা হয়ে গেল। এরপর শুরু কাড়াকাড়ি... সবার সামনে দরজা দিয়ে আম ভাঙলাম সো সবাই ই এক টুকরা চায়... এরপর দিন আমি আরও বেশী করে আম আনলাম। আমি তো ক্লাসে পুরা হিট ! হাহাহা... কত পুরানো কথা... কিন্তু মজাটা এখনও মনে আছে...
ReplyDeleteএবারও দাদুবাড়ি থেকে আম এসেছে, তবে এবার এসেছে আমার শ্বশুরবাড়ি তে। আম কেটে রেডী রেখেছি। আপনার রেসিপিটাই করবো। আমি আগে জিরা গুড়া দেইনি... কিন্তু মনে হচ্ছে দিলে অনেক মজা হবে...
উফফ... কাঁচা আম নিয়ে এত লিখতে গিয়ে কতবার যে জিভে জল আসলো... :)
চমতকার একটা কমেন্ট! আমাদের সকলের কত ধরনের স্মৃতিই না আছে আমকে ঘিরে...... সেজন্যেই বলেছি - আমই সেরা... যাই হোক, জিরা গুঁড়া একটা আলাদা ফ্লেভার দেবে সরবতে... আশা করি ভালো লাগবে... :)
DeleteTongue showering recepie
ReplyDeleteyup!!... its damn yummy!! :D
Delete