Thursday, 29 August 2013

পেস্তো সস নিয়ে আরেকটা কিছু...... (পেস্তো পিজার সাথে সসেজ)

২৯ অগাস্ট ২০১৩



পেস্তো সস-টা আমাদের ফেভারেট সস হয়ে গেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। আর একবার এই সস বানিয়ে ফেললে বোঝা যায় যে এটা আসলে কত খাবারে ব্যবহার করা যায়। আর যেহেতু এই সস-টার বেশ চমতকার ফ্লেভার থাকে, তাই যে খাবারেই দেওয়া হয়, সেটারই ফ্লেভার হয়ে যায় সেইরকম ইয়ামি। আমাদের বাড়িতে পিজা মোটামুটি চলে। ইলেকট্রিসিটির নিশ্চয়তা না থাকার কারণে অবশ্য প্যান পিজা-টাই আমাদের নিয়মিত পিজা হয়ে গেছে। আর নিয়মিত যেহেতু হয়েই গেছে, তখন এই পেস্তো সস-টার পিজার উপরে বসে পড়াটা শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র।



এর আগে আমরা তৈরি করেছিলাম সিম্পল প্যান পিজা উইথ ক্যাপসিকাম এন্ড আনিয়ন (Simple Pan Pizza with Capsicum and Onion), আর তৈরি করছি বীফ প্যান পিজা (Beef Pan Pizza)। আজকে আমরা তৈরি করতে যাচ্ছি পেস্তো পিজার সাথে সসেজ (Pesto Pizza with Sausage)। পিজা একটা মোটামুটি ব্যালান্সড খাবার। সাইজের উপরে নির্ভর করে এটা হাল্কা নাস্তাও হতে পারে, আবার পুরো খাবারও হতে পারে। আমাদের আজকের বানানো পিজাটা অবশ্য কিছুটা নাস্তার সাইজের পিজাই বলা যেতে পারে। তবে সেটা পুরোপুরি নির্ভর করছে আপনার উপরে। আপনি আপনার দরকার মতো সাইজ তৈরি করে নিতে পারেন। তবে চলুন, দেরী না করে রান্নাঘরে ঢুকে পরি।





ডো-টা অন্য পিজাগুলি যেভাবে বানিয়েছি, সেভাবেই বানিয়েছি। আপনি এই লিঙ্কে ডো বানানোটা দেখে নিতে পারেন। ডো-টা বেলে নিয়ে চূলায় একটা সাইড সামান্য সময়ের জন্য সেঁকে নিয়ে সেই সেঁকা সাইডেই পেস্তো সস বেইস (base) হিসেবে ভালোমতো লাগিয়ে নিই। (পেস্তো সস বানানোটা এই লিঙ্কে দেখে নিতে পারেন।) তার উপরে বিছিয়ে দিই চাকতির মত করে কাটা চিকেন সসেজ। পিজাটাতে কিছুটা স্পাইসি করার জন্য কিছু লাল কাঁচা মরিচ কুঁচি করে দিয়ে দিলাম। আর সবার উপরে মজারেলা (Mozzarella) পনির গ্রেটিং করে দিয়ে দিই।


পিজাটা সাজানো হয়ে গেলে আবার তাওয়ায় দিয়ে মৃদু আঁচে ৭-৮ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রেখে দিই। তারপরে তাওয়া থেকে নামিয়ে গরম গরম সার্ভ করা। ব্যাস, হয়ে গেল আমাদের পেস্তো পিজার সাথে সসেজ (Pesto Pizza with Sausage)। যারা খাবারে নতুনত্ব খোঁজেন বা কিছুটা ফিউসন পছন্দ করেন, তারা ট্রাই করে দেখতে পারেন।



আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতের উপরেই আমরা সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা পাই।

আমাদের পিজা নিয়ে অন্য  পোস্টগুলি দেখতে পারেনঃ
সিম্পল প্যান পিজা উইথ ক্যাপসিকাম এন্ড আনিয়ন
বীফ প্যান পিজা

পেস্তো নিয়ে আমাদের অন্য পোস্টগুলি পাবেন এখানেঃ 
পেস্তো পাস্তার সাথে চিকেন বল 
ভাজা আলুর পেস্তো সালাদ

Sunday, 25 August 2013

চাইনিজ একটা খাবার নিয়ে...... (বীফ-ভেজিটেবল ফ্রাইড ওনটন)

২৫ অগাস্ট ২০১৩

Food Photography, Dhaka, Bangladesh


চাইনিজ খাবারের কথা শুনলেই যেসব আইটেমের কথা মনে আসে, তার মধ্যে ওনটন (wonton) একটা। তবে যেভাবে এই খাবার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে, তাতে এর অরিজিনাল চাইনিজ ভার্সন মনে হয় চীন ছাড়া আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না। বেশিরভাগ ওনটন সিদ্ধ করা হলেও ফ্রাই করা ওনটন এখন বেশ চলে। সিদ্ধ করা ওনটন স্যুপের মধ্যে বেশী ব্যবহৃত হলেও ফ্রাই করা ওনটন কিন্তু এপেটাইজার হিসেবেই চলে। আর এই ফ্রাইড ওনটন আবার চীনের বাইরেই চলে বেশি। চাইনিজ খাবারে সাধারণত ওনটনের ভেতরে যা ব্যবহার করা হয়, আমরা সেটা করবো না। বরং এখানে আমরা আমাদের নিজেদের কিছু জিনিস দেবো। কাজেই এটাকে পুরোপুরি চাইনিজ আইটেম বলাও যাবে না; বরং বলতে পারি যে এই খাবারটার আইডিয়াটা চাইনিজ, কিন্তু তৈরি করা হয়েছে আমাদের নিজেদের মতো করে। যাই হোক, কথা না বাড়িয়ে রেসিপির দিকে চলে যাই - বীফ-ভেজিটেবল ফ্রাইড ওনটন (Beef-Veggie Fried Wonton)।



কয়দিন আগে বানানো বীফ প্যান পিজার বেশ কিছু ফিলিং বেঁচে গিয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম ভেজিটেবল রোলস করি। পরে ভাবলাম ভেজিটেবল রোলস তো সবসময় করি; আজ অন্য কিছু ট্রাই করলে কেমন হয়? তাই ভাবলাম ওনটন-টা বানিয়ে দেখি। যেহেতু পুরটা বানানোই আছে, শুধু ওনটনের ডো-টা বানাতে হবে।







এক কাপ ময়দার সাথে অর্ধেক টেবিল চামচ লবণ, এক টেবিল চামচ চিনি, একটা ডিম ও পরিমানমত পানি দিয়ে ওনটনের ডো বানিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিই।




২০ মিনিট পর ডো-টাকে তিন ভাগে ভাগ করি। এক ভাগ ডো-কে একদম পাতলাভাবে বেলে নিই। এখানে বেলার সুবিধার্থে আমি ময়দার পরিবর্তে কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করেছি।



পাতলা করে বেলা রুটিটাকে প্রথমে বর্গাকৃতি করে কেটে নিয়ে তারপর পুনরায় সেটাকে আয়তাকারের দু'টি টুকরা করি। আর অল্প কিছু পানিতে লবণ মিশিয়ে রাখি, যা ওনটন ভাঁজের সময় আঠার কাজ করবে।


আর পুরের কথা তো আগেই বলেছি। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে এসেছিলাম ব্যবহারের আগে। পুর বানাবার প্রসেসটা এই লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন।





আয়তাকৃতির রুটির মাঝখানে এক চা-চামচ পরিমাণ পুর দিয়ে রুটির চারপাশে লবণ-মিশ্রিত পানি হাল্কাভাবে আঙ্গুল দিয়ে লাগিয়ে দুই ভাঁজ করে নিয়েছি। এখন পুর ভরা এই ওনটনটা বর্গাকৃতির দেখাবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রেখেছিলাম রুটির ভিতরে যেন কোন বাতাস (বাবল) না থাকে। বাতাস থেকে গেলে পরে ভাজার সময় ওনটন ফেটে যেতে পারে।




Food Photography, Dhaka, Bangladesh

একবার ভাঁজ করা বর্গাকৃতির ওনটনটিকে পুনরায় ভাঁজ করে আয়তাকার করতে হবে। এরপর এর দুই কোনা ধরে একসাথে আনলেই একটা সুন্দর আকৃতি হয়ে যাবে। এই আকৃতিতে থাকার জন্য আবার একইভাবে লবণ পানি দিয়ে কোনাগুলি জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে।




এখন এই ওনটনগুলিকে ডুবো তেলে মিডিয়াম আঁচে মিনিট পাঁচেক ভাজলেই গোল্ডেন ব্রাউন রঙ ধারন করবে। ব্যাস, হয়ে গেল আমাদের বীফ-ভেজিটেবল ফ্রাইড ওনটন (Beef-Veggie Fried Wonton)। এখন তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করাটা বাকি। তেঁতুলের সস বা চিলি সসের সাথে মচমচে অবস্থায় গরম গরম পরিবেশন করুন; দারুন মজা পাবেন!

Food Photography, Dhaka, Bangladesh



আপনার ফীডব্যাক দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতের উপরেই আমরা ভরসা পাই, আর সামনে এগুনোর সাহস পাই।

আরও দেখতে পারেনঃ
স্পাইসি চিকেন-ভেজি সাসলিক
চিকেন উইং ললিপপ
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
Potato Love Croquette with Curdled Milk & Almond
ফিস ফিঙ্গার
মোগলাই পরোটা

Tuesday, 20 August 2013

এবারে সালাদ ড্রেসিং নিয়ে কিছু করা...... (পটেটো-লং বীন সালাদ উইথ মাস্টার্ড ভিনেগ্রেট)

২০ অগাস্ট ২০১৩



যারা মোটামুটি আমাদের ব্লগ অনুসরণ করছে কিছুকাল ধরে, তারা হয়তো জেনে গেছেন যে আমরা কিছুটা সালাদ-ভক্ত; অথবা কেউ কেউ বলবেন সালাদের দিকে কিছুটা আসক্তও! তবে আমাদের ধারণা যে ভালো জিনিসের প্রতি আসক্তি ভালো বৈ খারাপ কিছু নয়। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে সালাদ হয় খাবারে ব্যালান্স আনে, অথবা খুব কম সময়ে করা যায় অথবা খুবই সুস্বাদু কিছু মেনু দেয়, অথবা এর সবগুলিই দেয়। আমরা মোটামুটি চেষ্টা করি সবগুলিই আদায় করে নিতে, তবে সেটা যখন পারি না, তখনও অন্তত স্বাদটাকে বিসর্জন দেয়া যায় না। পুরোপুরি ব্যালান্সড না হলেও অন্য খাবারের সাথে পরিবেশন করলে কিন্তু ব্যালান্সড হয়ে যায়। আর খুব কম সময়ে যেটা করা যাচ্ছে না, সেটা তো বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা বিশেষ দিনের জন্যে থাকছেই।




আজকে যে সালাদ নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, তার খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এর ড্রেসিং (dressing)। আসলে সব সালাদেরই ড্রেসিংটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ড্রেসিং থেকেই এর স্বাদের একটা বড় অংশ আসে। আজকে আমাদের ড্রেসিং হলো এক ধরনের ভিনেগ্রেট (vinaigrette)। যদিও বেশিরভাগ সময় ভিনেগ্রেট তৈরি করা হয় অলিভ অয়েল ব্যবহার করে, আমরা কিন্তু ব্যবহার করেছি সরিষার তেল (mustard oil), যেটা একটা ভালো ফ্লেভার দেয়। আমাদে দেশে অলিভ অয়েল তৈরি হয় না, তাই আমাদের এখানে যেটা হয়, সেটার উপরেই আমরা গুরুত্ব বেশি দিয়েছি - সরিষার তেল। আর ফ্লেভারটাকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা সরিষাও ব্যবহার করেছি। তাই আমাদের এই ভিনেগ্রেট হচ্ছে মাস্টার্ড ভিনেগ্রেট (mustard vinaigrette)। আর সালাদের প্রধান উপকরন ছিল আলু, যা দেবে শর্করা; আর থাকবে বরবটি (long bean), যা দেবে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আর ফাইবার। যাই হোক, আর দেরী না করে আজকের রেসিপির দিকে চলে যাচ্ছি - পটেটো-লং বীন সালাদ উইথ মাস্টার্ড ভিনেগ্রেট (Potato-Long Bean Salad with Mustard Vinaigrette)।



 এই সালাদে আমাদের প্রধান উপকরণ মাত্র দু'টি - সিদ্ধ আলু আর ভেজে নেয়া বরবটি। আলু সিদ্ধ করে কিউব করে কেটে নিয়েছি এবং বরবটিগুলিকে প্রায় এক ইঞ্চি লম্বা করে কেটে সামান্য তেলে কড়া আঁচে সঁতে (sauteed) করে নিয়েছি।

ভিনেগ্রেট (Vinaigrette) তৈরিঃ










 একটি বাটিতে প্রায় তিন টেবিল চামচ পরিমাণ ভিনেগার (আমরা বাজারে বহুল প্রচলিত সাদা ভিনেগার ব্যবহার করেছি) নিয়ে তাতে একে একে এক চা চামচ লবণ, অর্ধেক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়া, এক চা চামচ সাদা সরিষা গুঁড়া (white mustard powder), বিচি ফেলে কুঁচি করে কাটা কাঁচা মরিচ, প্রায় এক চা চামচ পরিমাণ মিহি করে কাটা রসুন, ধনে পাতা কুঁচি ও যে পরিমাণ ভিনেগার, সেই পরিমাণ সরিষার তেল মিশিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিই। এখানে তেলটা শেষের দিকে দিলে ভাল, কারণ এটা মিশতে কিছুটা সময় নেবে। এটাই হলো আমাদের আজকের মাস্টার্ড ভিনেগ্রেট (mustard vinaigrette)।




এখন কিউব করে কাটা সিদ্ধ আলু এবং সঁতে করা বরবটির সাথে ভিনেগ্রেট মিশিয়ে নিলেই হল। হয়ে গেল আমাদের অতি সহজ পটেটো-লং বীন সালাদ উইথ মাস্টার্ড ভিনেগ্রেট (Potato-Long Bean Salad with Mustard Vinaigrette)।



ভিনেগ্রেটের স্বাদ খুব সুস্বাদু আর অন্য রকমের। একবার মুখে গেলে এটার স্বাদ আপনাকে ধরে ফেলবেই! আর খেয়াল করে দেখবেন যে আজকের এই সালাদ হচ্ছে গরম সালাদ (warm salad); ঠান্ডা সালাদ নয়। মানে এটা গরম-গরম খেতেই সবচেয়ে বেশি মজা পাবেন। তাই চেষ্ট করবেন যেন ভিনেগ্রেটটা ঠিক একেবারে সার্ভ করার আগে যেন মেশানো হয়। বেশি আগে মেশালে আসল মজাটা পাবেন না। আর চিকেনের কোন আইটেমের সাথে এটা খেতে বেশ মজা পাবেন।



আপনার মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতই আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

আমাদের অন্যান্য সালাদের পোস্টগুলি দেখে নিতে পারেনঃ
চিকেন সালাদ উইথ সামার ভেজি
আলু-ডিমের সালাদ, সাথে মিক্সড ভেজি, সুইট কর্ন  
ভাজা আলুর পেস্তো সালাদ
স্পাইসি টেম্পুরা চিকেন এন্ড শ্রিম্প সালাদ

Monday, 19 August 2013

ভালো একটা নাস্তার মেনুর খোঁজে...... (বীফ প্যান পিজা)

১৯ অগাস্ট ২০১৩

Food Photography, Dhaka, Bangladesh


ঈদের সময় কত কিছুই না তৈরি হয় বাসায়। বেশিরভাগই বেশ ভারী খাবার। অবশ্য নাস্তার আইটেমও কম যায় না। সেমাই, পায়েস, কাবাব, জর্দা, দই বড়া, ইত্যাদি থাকেই। তবে অনেকেই খোঁজাখুজি করেন আলাদা কিছু করার জন্য। তবে অনেক কিছু একসাথে তৈরি করার ঝামেলার মাঝে হারিয়ে যান। শেষমেশ যেটা প্রতিবারেই করা হয় সেখানেই নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখেন। এরকম সময়ে পিজা একটা আইটেম যেটা ঝটপট মেহমানের সামনে দিয়ে দেয়া যায়। তবে শুধু ঈদের সময় নয় পিজা এমন একটা আইটেম যেটা যেকোন সময়ে করা যায়। আমরা এর আগে একবার সিম্পল প্যান পিজা নিয়ে লিখেছিলাম, যেখানে ওভেন ছাড়াই পিজা তৈরি করেছিলাম। আগেরবার আমরা তৈরি করেছিলাম সিম্পল প্যান পিজা উইথ ক্যাপসিকাম এন্ড আনিয়ন (Simple Pan Pizza with Capsicum and Onion)। এবারে আমরা তৈরি করছি বীফ প্যান পিজা (Beef Pan Pizza)। এর আগের বারে আমরা ছবিসহ প্রসেস দেখাতে পারিনি। এবারে ছবি থাকছে। চলুন দেখে নিই।


চারটি প্যান পিজা করার জন্য আমি তিন কাপ আটা নিয়েছিলাম। যেকেউ চাইলে ময়দাও ব্যবহার করতে পারেন।







আটার সাথে প্রায় এক চা চামচ পরিমাণ লবণ, দুই টেবিল চামচ শুকনা ইস্ট ও এক চা চামচ পরিমাণ চিনি। উপকরণগুলিকে শুকনা অবস্থায় ভালোভাবে মিশিয়ে নিই। এখন প্রায় এক কাপ পরিমাণ কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে মিশিয়ে খামির করি। খামির করার সময় প্রায় ১/৪ কাপ তেল ব্যবহার করেছি (আমরা রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি; আপনি যেকোন তেল ব্যবহার করতে পারেন)। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি খুব বেশি গরম না হয়, তা নাহলে ইস্টের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। পানি ও তেল দিয়ে খুব মসৃন করে খামির তৈরি করে নিই।


খামিরটাকে ঘন্টা-দু'য়েকের জন্য গরম চূলার পাশে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিই।



Food Photography, Dhaka, Bangladesh

পিজার উপরে টপিং হিসেবে বীফ কীমার পাশাপাশি আমি গাজর কুঁচি ও বরবটি কুঁচিও ব্যবহার করেছি। এগুলি খাবারটাকে উপাদেয় করার সাথে সাথে কিছুটা ব্যালান্সও করবে।












টপিং-এর গ্রেভি-টা বানাবার জন্যে চূলায় নন-স্টিক ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে প্রথমে পিঁয়াজ কুঁচি দিই। পিঁয়াজটা একটু নরম হয়ে গেলে তাতে সামান্য লবণ দিই, কারণ আমি এখানে ওইস্টার সস-ও (Oyster Sauce) ব্যবহার করবো। এরপর পিঁয়াজ-ভাজার উপরে আদা-রসুন বাঁটা দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে তাতে এক এক করে ফাফ কাপ পরিমাণ টমেটো কেচাপ, গাজর কুঁচি, বরবটি কুঁচি, ওইস্টার সস, গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে নাড়াচাড়া করে শেষে প্রায় এক কাপ পরিমাণ বীফ কীমা দিই। খুব ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে গ্রেভিটার রান্না কমপ্লিট করি। এখানে গ্রেভি তৈরির কোন বাধাধরা নিয়ম নেই। আপনি আপনার মনের মাধুরি মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন। তবে গ্রেভি তৈরি করার সময়ে টেস্টটা একটু চেখে দেখে নিতে হবে।




ফুলে ওঠা খামিরটাকে সমান চারটি ভাগে ভাগ করে নিই। একেকটি ভাগকে গোল রুটির মতো করে বেলে আগে থেকে গরম করে রাখা নন-স্টিক তাওয়ায় দিয়ে দেড় থেকে দু'মিনিট পর উঠিয়ে নিই। এখানে রুটির একটা দিক মাত্র হাল্কা সেঁকা হয়েছে। যে দিকটা সেঁকা হয়েছে তার উপরে আমরা টপিং দেব।





রুটির যে পিঠটা সেঁকা হয়েছে তার উপরে বেস (base) হিসেবে টমেটো সস দিই। তার উপরে বীফ কীমার গ্রেভিটা ভালোমত বিছিয়ে দিই। তার উপরে ক্যাপসিকামের ছোট করে কাটা টুকরা, বেবি কর্নের টুকরা ও গ্রেটিং করা মজোরোলা চীজ (Mozzarella Cheese) দিয়ে দিই। এই সাজানোটাও নিজের খেয়াল খুশিমত করতে পারেন। সবশেষে উপরে ড্রাইড অরিগানো (dried oregano) ছিটিয়ে দিয়েছি।





এখন পিজাটা সাজানো হয়ে গেলে সাবধানে গরম তাওয়ার উপরে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিই। চূলার আঁচটা হবে মৃদু। ৫ মিনিটের মধ্যেই একটা হাল্কা ফ্লেভার আসলে বোঝা যাবে যে পিজা তৈরি হয়ে গেছে। এখন শুধু গরম গরম পরিবেশন করার পালা। হয়ে গেল আমাদের অতি সহজ বীফ প্যান পিজা (Beef Pan Pizza)।

Food Photography, Dhaka, Bangladesh

 Food Photography, Dhaka, Bangladesh


আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতই আমাদের সামনে এগুনোর প্রেরণা দেয়।