Saturday 13 April 2013

নিজে করার আনন্দ... (সিম্পল প্যান পিজা)

১৩ এপ্রিল ২০১৩

আমাদের বিরূদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করছেন আমরা ফেইসবুকে ছবি দেওয়ার পর বেশ দেরি করি আমাদের ব্লগ পোস্ট করতে। হুমমম... কথাটা খুব একটা ভুল না। প্রথম প্রথম চেষ্টা করেছি ছবির সাথেই ব্লগ পোস্ট করে দিতে। কিন্তু সেটা আসলে সময়ের অভাবে অনেক সময়ই হয়ে ওঠে না। আমরা চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি পারি ব্লগ নিয়ে আসতে। অনেকেই হয়তো রেসিপি জানার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন।

বিকেল বা সন্ধ্যায় যখন একটু খিদে খিদে ভাবটা আসে, ঠিক তখনি কারো হাতের কাছে এক ফালি পিজা আসলে তার মনটা ভালো হয়ে যাবারই কথা। তবে দোকান থেকে পিজা আনতে হবে যে? বাসা থেকে বের হওয়া যদি কোন কারণে না যায়, তাহলে? আবার ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে দোকানের পিজা? খাওয়ার আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে! এর সমাধান একটাই। নিজেরটা নিজেই...... সবার জন্য হয়তো নিজেরটা নিজে বানানো সম্ভব নয়, তবে যাদের জন্য সম্ভব, তারা অবশ্যই চেষ্টা করে দেখতে চাইবেন। আর আতিথি বা বাসার অন্য সকলের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দ তো সবসময়ই আছে।


Simple Pan Pizza with Capsicum and Onion

যাই হোক, সময় ক্ষেপণ না করে আসল কথায় আসি। প্রথমেই চিন্তা করে নিয়েছিলাম যে পিজাটা ওভেন ছাড়া করবো, কারণ লোড শেডিং-এর এই ক্রাইসিস পিরিয়ডে হয় আমার পিজাটা হাফ-কুকড থেকে যাবে অথবা আমাকে আরও এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। ডো-টা তৈরি করেছিলাম ঘন্টা-খানেক আগেই দু'কাপ ময়দায় এক চা চামচ লবণ, এক চামচ চিনি, দুই টেবিল চামচ ইস্ট, এক টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ দিয়ে হাফ-কাপ কুসুম গরম পানি দিয়ে খামির করে নিয়েছি। পানি দিয়ে খামির করার পরে শেষে আরও নরম করার জন্য দুই টেবিল চামচ তেল দিয়ে খামিরটাকে আরও ভালোভাবে মাখিয়ে ঢাকনা দিয়ে চূলার পাশে রেখে দিয়েছিলাম। চূলায় ওই সময় পানি ফুটছিলো, তাই গরম চূলাটাকে কাজে লাগালাম। কাজেই আলাদাভাবে খামিরটাকে বেকার চূলার আগুনের পাশে রেখে দেশের মূল্যবান গ্যাস সম্পদ পোড়ানোর দরকার হয়নি।


আর এরই মধ্যে পিজার টপিং-এর জন্য মুরগীর কীমা, গাজর কুঁচি, বাধাকপি কুঁচি, টমেটো কুঁচি ও টমেটো কেচাপ দিয়ে গ্রেভি বানিয়ে রাখলাম। সাথে উপরে সাজানোর জন্য পিঁয়াজের রিং, ক্যাপসিকাম লম্বা ও চিকন করে কেটে রাখলাম। পিজা বানাবার সিদ্ধান্তটা যেহেতু হঠাত, তাই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে মোজোরোলা চিজ কিনে আনার সময় নেই। তাতে কি? ঘরে আছে আমাদের ঢাকাইয়া পনির। এই পনিরটাই বেশি করে গ্রেট করে রেখে দিই।



ময়দার খামিরটা যখন ফুলে উঠবে তখন বুঝতে পারি আমার পিজার ডো রেডি। ছোট করে না করে একবারেই দু'টা বড় পিজা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। ডো-টাকে দু'ভাগ করি। পিড়া বেলুনে ডো-টাকে ৮ ইঞ্চি পরিমাণ বেলে চূলায় দিই। ১ মিনিট চূলায় থাকার পর রুটিটা নামিয়ে রুটির যে অংশ সেঁকা হয়েছে তার উপরে টমেটো সস বেশী পরিমাণে বিছিয়ে দিই। এই টমেটো সসের উপরে গ্রেভিটা ভালোমতো বিছিয়ে দিই টপিং হিসেবে। তার উপরে ক্যাপসিকাম কুঁচি, পিঁয়াজের রিং এবং যথেচ্ছা পনিরের কুঁচি দিয়ে রুটিটা তাওয়ায় অল্প আঁচে দিই। উপরে ঢাকনা অবশ্যই দিতে হবে।



দু'-পাঁচ মিনিট পর পর ঢাকনা তুলে দেখতে হবে রুটিটা হচ্ছে কি না।  যখন দেখি যে পনিরটা গলে গিয়েছে এবং ক্যাপসিকাম এবং পিঁয়াজের রিং-টাও কিছুটা নরম হচ্ছে তখন বুঝবো আমার পিজা হয়ে গেছে। তাওয়ায় পিজা করতে ১০-১২ মিনিটের চেয়ে বেশী সময় লাগেও না। দেখলেন তো, কত সহজ বাড়িতে পিজা বানানো! এবার আপনার করে দেখার পালা!

খুব শিগগিরই আরও লেখা নিয়ে ফাজির হবো আশা করি। তখন পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছি। আপনাদের মতামত দিতে ভুলে যাবেন না কিন্তু। আপনাদের মতামতই আমাদের সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা।

4 comments:

  1. Great article vaiya... I will try it in our mess In SHa Allah .. keep writing vaiya.. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. you better.... its so easy....
      and thanks for the inspiration... :)

      Delete
  2. কবে যে বানাবো :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. যে কোন একদিন সাহস করে ফেলেন... খুব সহজ তো... আর সময়ও কম লাগে... :)

      Delete