২৫ অগাস্ট ২০১৩
চাইনিজ খাবারের কথা শুনলেই যেসব আইটেমের কথা মনে আসে, তার মধ্যে ওনটন (wonton) একটা। তবে যেভাবে এই খাবার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে, তাতে এর অরিজিনাল চাইনিজ ভার্সন মনে হয় চীন ছাড়া আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না। বেশিরভাগ ওনটন সিদ্ধ করা হলেও ফ্রাই করা ওনটন এখন বেশ চলে। সিদ্ধ করা ওনটন স্যুপের মধ্যে বেশী ব্যবহৃত হলেও ফ্রাই করা ওনটন কিন্তু এপেটাইজার হিসেবেই চলে। আর এই ফ্রাইড ওনটন আবার চীনের বাইরেই চলে বেশি। চাইনিজ খাবারে সাধারণত ওনটনের ভেতরে যা ব্যবহার করা হয়, আমরা সেটা করবো না। বরং এখানে আমরা আমাদের নিজেদের কিছু জিনিস দেবো। কাজেই এটাকে পুরোপুরি চাইনিজ আইটেম বলাও যাবে না; বরং বলতে পারি যে এই খাবারটার আইডিয়াটা চাইনিজ, কিন্তু তৈরি করা হয়েছে আমাদের নিজেদের মতো করে। যাই হোক, কথা না বাড়িয়ে রেসিপির দিকে চলে যাই - বীফ-ভেজিটেবল ফ্রাইড ওনটন (Beef-Veggie Fried Wonton)।
কয়দিন আগে বানানো বীফ প্যান পিজার বেশ কিছু ফিলিং বেঁচে গিয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম ভেজিটেবল রোলস করি। পরে ভাবলাম ভেজিটেবল রোলস তো সবসময় করি; আজ অন্য কিছু ট্রাই করলে কেমন হয়? তাই ভাবলাম ওনটন-টা বানিয়ে দেখি। যেহেতু পুরটা বানানোই আছে, শুধু ওনটনের ডো-টা বানাতে হবে।
এক কাপ ময়দার সাথে অর্ধেক টেবিল চামচ লবণ, এক টেবিল চামচ চিনি, একটা ডিম ও পরিমানমত পানি দিয়ে ওনটনের ডো বানিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিই।
২০ মিনিট পর ডো-টাকে তিন ভাগে ভাগ করি। এক ভাগ ডো-কে একদম পাতলাভাবে বেলে নিই। এখানে বেলার সুবিধার্থে আমি ময়দার পরিবর্তে কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করেছি।
পাতলা করে বেলা রুটিটাকে প্রথমে বর্গাকৃতি করে কেটে নিয়ে তারপর পুনরায় সেটাকে আয়তাকারের দু'টি টুকরা করি। আর অল্প কিছু পানিতে লবণ মিশিয়ে রাখি, যা ওনটন ভাঁজের সময় আঠার কাজ করবে।
আর পুরের কথা তো আগেই বলেছি। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে এসেছিলাম ব্যবহারের আগে। পুর বানাবার প্রসেসটা এই লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন।
আয়তাকৃতির রুটির মাঝখানে এক চা-চামচ পরিমাণ পুর দিয়ে রুটির চারপাশে লবণ-মিশ্রিত পানি হাল্কাভাবে আঙ্গুল দিয়ে লাগিয়ে দুই ভাঁজ করে নিয়েছি। এখন পুর ভরা এই ওনটনটা বর্গাকৃতির দেখাবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রেখেছিলাম রুটির ভিতরে যেন কোন বাতাস (বাবল) না থাকে। বাতাস থেকে গেলে পরে ভাজার সময় ওনটন ফেটে যেতে পারে।
একবার ভাঁজ করা বর্গাকৃতির ওনটনটিকে পুনরায় ভাঁজ করে আয়তাকার করতে হবে। এরপর এর দুই কোনা ধরে একসাথে আনলেই একটা সুন্দর আকৃতি হয়ে যাবে। এই আকৃতিতে থাকার জন্য আবার একইভাবে লবণ পানি দিয়ে কোনাগুলি জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে।
এখন এই ওনটনগুলিকে ডুবো তেলে মিডিয়াম আঁচে মিনিট পাঁচেক ভাজলেই গোল্ডেন ব্রাউন রঙ ধারন করবে। ব্যাস, হয়ে গেল আমাদের বীফ-ভেজিটেবল ফ্রাইড ওনটন (Beef-Veggie Fried Wonton)। এখন তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করাটা বাকি। তেঁতুলের সস বা চিলি সসের সাথে মচমচে অবস্থায় গরম গরম পরিবেশন করুন; দারুন মজা পাবেন!
আপনার ফীডব্যাক দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতের উপরেই আমরা ভরসা পাই, আর সামনে এগুনোর সাহস পাই।
আরও দেখতে পারেনঃ
স্পাইসি চিকেন-ভেজি সাসলিক
চিকেন উইং ললিপপ
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
Potato Love Croquette with Curdled Milk & Almond
ফিস ফিঙ্গার
মোগলাই পরোটা
চাইনিজ খাবারের কথা শুনলেই যেসব আইটেমের কথা মনে আসে, তার মধ্যে ওনটন (wonton) একটা। তবে যেভাবে এই খাবার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে, তাতে এর অরিজিনাল চাইনিজ ভার্সন মনে হয় চীন ছাড়া আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না। বেশিরভাগ ওনটন সিদ্ধ করা হলেও ফ্রাই করা ওনটন এখন বেশ চলে। সিদ্ধ করা ওনটন স্যুপের মধ্যে বেশী ব্যবহৃত হলেও ফ্রাই করা ওনটন কিন্তু এপেটাইজার হিসেবেই চলে। আর এই ফ্রাইড ওনটন আবার চীনের বাইরেই চলে বেশি। চাইনিজ খাবারে সাধারণত ওনটনের ভেতরে যা ব্যবহার করা হয়, আমরা সেটা করবো না। বরং এখানে আমরা আমাদের নিজেদের কিছু জিনিস দেবো। কাজেই এটাকে পুরোপুরি চাইনিজ আইটেম বলাও যাবে না; বরং বলতে পারি যে এই খাবারটার আইডিয়াটা চাইনিজ, কিন্তু তৈরি করা হয়েছে আমাদের নিজেদের মতো করে। যাই হোক, কথা না বাড়িয়ে রেসিপির দিকে চলে যাই - বীফ-ভেজিটেবল ফ্রাইড ওনটন (Beef-Veggie Fried Wonton)।
কয়দিন আগে বানানো বীফ প্যান পিজার বেশ কিছু ফিলিং বেঁচে গিয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম ভেজিটেবল রোলস করি। পরে ভাবলাম ভেজিটেবল রোলস তো সবসময় করি; আজ অন্য কিছু ট্রাই করলে কেমন হয়? তাই ভাবলাম ওনটন-টা বানিয়ে দেখি। যেহেতু পুরটা বানানোই আছে, শুধু ওনটনের ডো-টা বানাতে হবে।
এক কাপ ময়দার সাথে অর্ধেক টেবিল চামচ লবণ, এক টেবিল চামচ চিনি, একটা ডিম ও পরিমানমত পানি দিয়ে ওনটনের ডো বানিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিই।
২০ মিনিট পর ডো-টাকে তিন ভাগে ভাগ করি। এক ভাগ ডো-কে একদম পাতলাভাবে বেলে নিই। এখানে বেলার সুবিধার্থে আমি ময়দার পরিবর্তে কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করেছি।
পাতলা করে বেলা রুটিটাকে প্রথমে বর্গাকৃতি করে কেটে নিয়ে তারপর পুনরায় সেটাকে আয়তাকারের দু'টি টুকরা করি। আর অল্প কিছু পানিতে লবণ মিশিয়ে রাখি, যা ওনটন ভাঁজের সময় আঠার কাজ করবে।
আর পুরের কথা তো আগেই বলেছি। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে এসেছিলাম ব্যবহারের আগে। পুর বানাবার প্রসেসটা এই লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন।
আয়তাকৃতির রুটির মাঝখানে এক চা-চামচ পরিমাণ পুর দিয়ে রুটির চারপাশে লবণ-মিশ্রিত পানি হাল্কাভাবে আঙ্গুল দিয়ে লাগিয়ে দুই ভাঁজ করে নিয়েছি। এখন পুর ভরা এই ওনটনটা বর্গাকৃতির দেখাবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রেখেছিলাম রুটির ভিতরে যেন কোন বাতাস (বাবল) না থাকে। বাতাস থেকে গেলে পরে ভাজার সময় ওনটন ফেটে যেতে পারে।
একবার ভাঁজ করা বর্গাকৃতির ওনটনটিকে পুনরায় ভাঁজ করে আয়তাকার করতে হবে। এরপর এর দুই কোনা ধরে একসাথে আনলেই একটা সুন্দর আকৃতি হয়ে যাবে। এই আকৃতিতে থাকার জন্য আবার একইভাবে লবণ পানি দিয়ে কোনাগুলি জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে।
এখন এই ওনটনগুলিকে ডুবো তেলে মিডিয়াম আঁচে মিনিট পাঁচেক ভাজলেই গোল্ডেন ব্রাউন রঙ ধারন করবে। ব্যাস, হয়ে গেল আমাদের বীফ-ভেজিটেবল ফ্রাইড ওনটন (Beef-Veggie Fried Wonton)। এখন তেল ঝরিয়ে পরিবেশন করাটা বাকি। তেঁতুলের সস বা চিলি সসের সাথে মচমচে অবস্থায় গরম গরম পরিবেশন করুন; দারুন মজা পাবেন!
আপনার ফীডব্যাক দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আপনাদের মতামতের উপরেই আমরা ভরসা পাই, আর সামনে এগুনোর সাহস পাই।
আরও দেখতে পারেনঃ
স্পাইসি চিকেন-ভেজি সাসলিক
চিকেন উইং ললিপপ
চিকেন স্ট্রিপ কাবাব
Potato Love Croquette with Curdled Milk & Almond
ফিস ফিঙ্গার
মোগলাই পরোটা
Love wonton!
ReplyDeletethanks!
Deletewe do too! :)