০২ জুলাই ২০১৩
যারা মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়ি থেকে বিভিন্ন টাটকা শাকসব্জি বা ফলফলাদি পেয়ে অভ্যস্ত, তারা মোটামুটি টাটকা খাবারের স্বাদটা খোঁজেন সবসময় সেটা বলা যায়। বাজারে যেটা আমরা পাই সেটা খারাপ তা কিন্তু নয়। কিন্তু সেটা আমাদের সবসময় দেখেশুনে কিনতে হচ্ছে। কোথায় যেন একটা নির্ভরতার অভাব রয়ে যায়। একটা সন্দেহ থেকে যায় কোনা দিয়ে। খাবার আগ পর্যন্ত যেন কনফিডেন্ট হতে পারি না কি খেতে যাচ্ছি। আসলে এমন ভেজালের সংস্কৃতিতে থাকলে কি আর বলা যায়? তখন আমরা সবাই শুধু সেই স্বর্গের সন্ধান করি যেখানে গাছ থেকে পেড়ে এনে টাটকা জিনিস খাওয়া যায়। এই স্বর্গেরই কিছুটা আমরা পেয়ে যাই যখন গ্রামের বাড়ির টাটকা শাকসব্জি বা ফলফলাদি আমাদের হাতে আসে। এমনই একটা দিনের কথা বলছি।
নানাবাড়ি চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ থেকে টাটকা আলু এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেই আলু দিয়েই আমরা তৈরি করেছিলাম আমাদের আলুর দম, আর লিখেছিলাম অতি সাধারণ ব্রেকফাস্টের আগের পোস্টটা। সেই একই আলু দিয়ে আজকে আরেকটা ফেভারেট সকালের নাস্তা তৈরি হলো - আলু ভাজি; আর সাথে ডিম পোঁচ না থাকলে ব্রেকফাস্ট তো শেষই হলো না! আলু ভাজির চাইতে সাধারণ ব্রেকফাস্ট আর কি হবে? তারপরেও কি যেন একটা অসাধারণ কিছু লুক্কায়িত আছে ওটার ভেতরে। একসময় মনে হতো এই পাগলামি কি আমি একাই করতাম কিনা। এরপরে একদিন জানতে পারলাম একজন বেশ বড় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বও (সর্বোচ্চ পদেও অধিষ্টিত ছিলেন) নাকি আমার মতোই পাগল। হুমমম... এই পাগলামি আসলেই অন্যরকম একটা কিছু এখানে আসলে অন্য সবকিছুই হার মানে। যে যত বড়ই হোন না কেন, এখানে হার মানাতেই যেন শান্তি!
যাই হোক, যেখানে শুরু করেছিলাম কথা - টাটকা শাকসব্জি। আমরা তাও একদিক থেকে কিছুটা ভাগ্যবান যে আমাদের দেশে বেশীরভাগ শাকসব্জি আমরা কাঁচা বাজারে পাই। উন্নত বিশের অনেক মার্কেটে এখন কাঁচা বাজারের প্রচলন নতুন করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। চলছে অর্গানিক ফার্মিংয়ের পক্ষে জোর লবিইং। আমরা অর্গানিক ফার্মিংয়ের দিকে এখনো যেতে না পারলেও অন্তত কাঁচা সব্জির কাছাকাছি যেতে পারছি বাজারে গিয়ে। সবকিছু এখনো প্যাকেট হয়ে যায়নি। তবে মানুষ যেভাবে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে আর বাজার-সদাই-য়ের সহজ পদ্ধতি খুঁজছে, তাতে প্যাকেটের জয়জয়কারই সামনে দেখতে পাচ্ছি। উন্নত বিশ্ব যেভাবে প্যাকেট সংস্কৃতিতে যেয়ে আবার মাটির কাছে ফেরত যেতে চাইছে, আমাদেরও হয়তো কোন একদিন তা-ই করতে হবে।
তবে যতদিন গ্রামের বাড়ির মাটির সোঁদা গন্ধ লেগে থাকা শাকসব্জি হাতে পাবো ততদিন সেই স্বাদের কোন বিকল্প খুঁজবো না। সেটা শুধু হারালেই মানুষ বোঝে কি হারিয়েছি। আজকে এ পর্যন্তই। আপনারাও আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন আশা করি। আরেকটা সাধারণ ব্রেকফাস্ট নিয়ে আবার হাজির হবো আশা রাখি।
আমাদের অতি সাধারণ ব্রেকফাস্ট সিরিজের বাকি পোস্টগুলি দেখতে পারেনঃ
অতি সাধারণ বাঁধাকপি ভাজি
চিচিঙ্গা ভাজি আর ডিম পোঁচ
আলুর দম নিয়ে কিছু কথা
যারা মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়ি থেকে বিভিন্ন টাটকা শাকসব্জি বা ফলফলাদি পেয়ে অভ্যস্ত, তারা মোটামুটি টাটকা খাবারের স্বাদটা খোঁজেন সবসময় সেটা বলা যায়। বাজারে যেটা আমরা পাই সেটা খারাপ তা কিন্তু নয়। কিন্তু সেটা আমাদের সবসময় দেখেশুনে কিনতে হচ্ছে। কোথায় যেন একটা নির্ভরতার অভাব রয়ে যায়। একটা সন্দেহ থেকে যায় কোনা দিয়ে। খাবার আগ পর্যন্ত যেন কনফিডেন্ট হতে পারি না কি খেতে যাচ্ছি। আসলে এমন ভেজালের সংস্কৃতিতে থাকলে কি আর বলা যায়? তখন আমরা সবাই শুধু সেই স্বর্গের সন্ধান করি যেখানে গাছ থেকে পেড়ে এনে টাটকা জিনিস খাওয়া যায়। এই স্বর্গেরই কিছুটা আমরা পেয়ে যাই যখন গ্রামের বাড়ির টাটকা শাকসব্জি বা ফলফলাদি আমাদের হাতে আসে। এমনই একটা দিনের কথা বলছি।
নানাবাড়ি চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ থেকে টাটকা আলু এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেই আলু দিয়েই আমরা তৈরি করেছিলাম আমাদের আলুর দম, আর লিখেছিলাম অতি সাধারণ ব্রেকফাস্টের আগের পোস্টটা। সেই একই আলু দিয়ে আজকে আরেকটা ফেভারেট সকালের নাস্তা তৈরি হলো - আলু ভাজি; আর সাথে ডিম পোঁচ না থাকলে ব্রেকফাস্ট তো শেষই হলো না! আলু ভাজির চাইতে সাধারণ ব্রেকফাস্ট আর কি হবে? তারপরেও কি যেন একটা অসাধারণ কিছু লুক্কায়িত আছে ওটার ভেতরে। একসময় মনে হতো এই পাগলামি কি আমি একাই করতাম কিনা। এরপরে একদিন জানতে পারলাম একজন বেশ বড় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বও (সর্বোচ্চ পদেও অধিষ্টিত ছিলেন) নাকি আমার মতোই পাগল। হুমমম... এই পাগলামি আসলেই অন্যরকম একটা কিছু এখানে আসলে অন্য সবকিছুই হার মানে। যে যত বড়ই হোন না কেন, এখানে হার মানাতেই যেন শান্তি!
যাই হোক, যেখানে শুরু করেছিলাম কথা - টাটকা শাকসব্জি। আমরা তাও একদিক থেকে কিছুটা ভাগ্যবান যে আমাদের দেশে বেশীরভাগ শাকসব্জি আমরা কাঁচা বাজারে পাই। উন্নত বিশের অনেক মার্কেটে এখন কাঁচা বাজারের প্রচলন নতুন করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। চলছে অর্গানিক ফার্মিংয়ের পক্ষে জোর লবিইং। আমরা অর্গানিক ফার্মিংয়ের দিকে এখনো যেতে না পারলেও অন্তত কাঁচা সব্জির কাছাকাছি যেতে পারছি বাজারে গিয়ে। সবকিছু এখনো প্যাকেট হয়ে যায়নি। তবে মানুষ যেভাবে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে আর বাজার-সদাই-য়ের সহজ পদ্ধতি খুঁজছে, তাতে প্যাকেটের জয়জয়কারই সামনে দেখতে পাচ্ছি। উন্নত বিশ্ব যেভাবে প্যাকেট সংস্কৃতিতে যেয়ে আবার মাটির কাছে ফেরত যেতে চাইছে, আমাদেরও হয়তো কোন একদিন তা-ই করতে হবে।
তবে যতদিন গ্রামের বাড়ির মাটির সোঁদা গন্ধ লেগে থাকা শাকসব্জি হাতে পাবো ততদিন সেই স্বাদের কোন বিকল্প খুঁজবো না। সেটা শুধু হারালেই মানুষ বোঝে কি হারিয়েছি। আজকে এ পর্যন্তই। আপনারাও আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন আশা করি। আরেকটা সাধারণ ব্রেকফাস্ট নিয়ে আবার হাজির হবো আশা রাখি।
আমাদের অতি সাধারণ ব্রেকফাস্ট সিরিজের বাকি পোস্টগুলি দেখতে পারেনঃ
অতি সাধারণ বাঁধাকপি ভাজি
চিচিঙ্গা ভাজি আর ডিম পোঁচ
আলুর দম নিয়ে কিছু কথা
No comments:
Post a Comment