১২ জুলাই ২০১৩
রমজানের শুরুতেই চিন্তা এলো ইফতারের টেবিল কি করে সাজাবো। সবসময়ের মতো এবারো কিছু স্বাস্থ্যকর রেসিপির চেষ্ট রাখবো বলে ভেবেছিলাম। তবে এবারের আলাদা ব্যাপারটা হচ্ছে ফোকাস। তার মানে এবারে আমরা ফোকাস রাখার চেষ্টা করবো স্বাস্থ্যকর কিছু রেসিপির দিকে। মুখরোচক কিছু খাবার অবশ্য লাগেই। সারাদিন রোজা রাখার পরে স্বাদের কুড়িগুলি কিছু স্বাদ খোঁজে। তাই স্বাদ থেকে দূরে যাওয়ারও কোন চেষ্টা থাকবে না। স্বাদ আর স্বাস্থ্যের মিলমিশ হবে এমন কিছু রেসিপির দিকেই এবারে থাকবে আমাদের ফোকাস। পুরোপুরি না পারলেও কিছুটা হলেও ব্যালান্স ডায়েটের দিকে ঘোরার চেষ্টা থাকবে।
ব্যালান্সের কথাটা ভেবেই দৃষ্টি চলে গেল ডীপ ফ্রিজে রেখে দেয়া মাশরুমের (Oyster Mushroom) দিকে। খুবই স্বাস্থ্যকর একটা উপাদান। এতে মিনেরাল যেমন প্রচুর রয়েছে, তেমনি কোলেস্টেরল কন্ট্রোলের ক্ষেত্রেও এর কৃতিত্ব রয়েছে। কিছুদিন আগেই ঢাকাই মেনুর ফেসবুক পেইজে এ বিষয়ে একটা পোস্ট ছিল। এই স্বাস্থ্যকর উপাদান থেকে তৈরি একটা স্বাস্থ্যকর আর অত্যন্ত সুস্বাদু রেসিপি নিয়েই আজকের এই লেখা। অনেক বারের মতো এই রেসিপিটাও আমাদের মাদার'স রেসিপির অন্তর্ভুক্ত। মা (শরীফুন নাহার) এই অতি সহজ রেসিপিতেই সবসময় মাশরুম স্যুপ তৈরি করেছেন। এই সিম্পল রেসিপিই প্রমাণ করে যে কঠিন কোন রেসিপি ছাড়াই সুস্বাদু খাবার পাওয়া সম্ভব। এটা শুধু ইফতারে নয়, যেকোন সময়ের জন্যেই খুব ভালো একটা খাবার।
মোটামুটি ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে এই স্যুপটি তৈরি হয়ে যাবে, কারণ এখানে আলাদা করে চিকেন বা ভেজিটেবল স্টক ব্যবহার হচ্ছে না। মাশরুমকে ফুটানো পানিটাই এখানে স্টক হয়ে স্যুপের জন্যে তৈরি হয়ে যাচ্ছে। Oyster Mushroom সাধারণত ফ্রেস কিনতে পাওয়া যায়। আমরাও ফ্রেসই সংগ্রহ করেছিলাম। যেহেতু ফ্রেস মাশরুম বেশীদিন রেখে খাওয়া যায় না, তাই আমরা এটাকে ডীপ ফ্রীজে সংরক্ষণ করেছিলাম। ডীপ ফ্রিজ থেকে বের করে মাশরুমগুলিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে এসেছি রান্না করার আগেই। তারপরে মাশরুমগুলিকে ধুয়ে যতটুকু সম্ভব কুচি করে নিয়েছি। তার সাথে যোগ করেছি প্রায় এক টেবিল চামচ পরিমাণ পিঁয়াজ কুঁচি। প্রায় চার কাপ স্যুপের জন্যে ছয় কাপ পানি, সাথে লবণ ও খাবার তেল (আমরা রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি; আপনি যে কোন তেল ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট মাঝারি আঁচে খুব ভালোমতো ফুটিয়ে নিয়েছি।
ছয় কাপ পানি ফুটে প্রায় চার কাপ স্টক হয়ে যাবার পর তাতে প্রায় ৩-৪ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে স্টকের মধ্যে ঢেলে দিয়েছি। কর্ণফ্লাওয়ার দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টকটি গাঢ় স্যুপে পরিণত হয়ে যায়।
গার্নিসিং-এর জন্যে কাঁচা মরিচ কুঁচি ও ফ্রেস ধনে পাতা কুঁচি (আমাদের বাগান থেকে পেড়ে এনেছিলাম!!) স্যুপের উপরে দিয়ে দিয়েছিলাম। তৈরি হয়ে গেল অত্যন্ত সিম্পল মাশরুম স্যুপ। এখানে যে এত্ত কম উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটা স্যুপের টেস্টে কিন্তু বোঝা যায়নি একটিবারও! এটা আসলেই ছিল একটা লিকুইড হেলথি ডিলাইট! ছোট্ট লামিসারও খুব ফেভারিট হয়ে গিয়েছে এই স্যুপটা। ধন্যবাদ মা'কে।
আজ এ পর্যন্তই থাকলো। পরবর্তী পোস্টের আগ পর্যন্ত বিদায়। ফীডব্যাক দেবেন আশা করবো।
রমজানের শুরুতেই চিন্তা এলো ইফতারের টেবিল কি করে সাজাবো। সবসময়ের মতো এবারো কিছু স্বাস্থ্যকর রেসিপির চেষ্ট রাখবো বলে ভেবেছিলাম। তবে এবারের আলাদা ব্যাপারটা হচ্ছে ফোকাস। তার মানে এবারে আমরা ফোকাস রাখার চেষ্টা করবো স্বাস্থ্যকর কিছু রেসিপির দিকে। মুখরোচক কিছু খাবার অবশ্য লাগেই। সারাদিন রোজা রাখার পরে স্বাদের কুড়িগুলি কিছু স্বাদ খোঁজে। তাই স্বাদ থেকে দূরে যাওয়ারও কোন চেষ্টা থাকবে না। স্বাদ আর স্বাস্থ্যের মিলমিশ হবে এমন কিছু রেসিপির দিকেই এবারে থাকবে আমাদের ফোকাস। পুরোপুরি না পারলেও কিছুটা হলেও ব্যালান্স ডায়েটের দিকে ঘোরার চেষ্টা থাকবে।
ব্যালান্সের কথাটা ভেবেই দৃষ্টি চলে গেল ডীপ ফ্রিজে রেখে দেয়া মাশরুমের (Oyster Mushroom) দিকে। খুবই স্বাস্থ্যকর একটা উপাদান। এতে মিনেরাল যেমন প্রচুর রয়েছে, তেমনি কোলেস্টেরল কন্ট্রোলের ক্ষেত্রেও এর কৃতিত্ব রয়েছে। কিছুদিন আগেই ঢাকাই মেনুর ফেসবুক পেইজে এ বিষয়ে একটা পোস্ট ছিল। এই স্বাস্থ্যকর উপাদান থেকে তৈরি একটা স্বাস্থ্যকর আর অত্যন্ত সুস্বাদু রেসিপি নিয়েই আজকের এই লেখা। অনেক বারের মতো এই রেসিপিটাও আমাদের মাদার'স রেসিপির অন্তর্ভুক্ত। মা (শরীফুন নাহার) এই অতি সহজ রেসিপিতেই সবসময় মাশরুম স্যুপ তৈরি করেছেন। এই সিম্পল রেসিপিই প্রমাণ করে যে কঠিন কোন রেসিপি ছাড়াই সুস্বাদু খাবার পাওয়া সম্ভব। এটা শুধু ইফতারে নয়, যেকোন সময়ের জন্যেই খুব ভালো একটা খাবার।
মোটামুটি ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে এই স্যুপটি তৈরি হয়ে যাবে, কারণ এখানে আলাদা করে চিকেন বা ভেজিটেবল স্টক ব্যবহার হচ্ছে না। মাশরুমকে ফুটানো পানিটাই এখানে স্টক হয়ে স্যুপের জন্যে তৈরি হয়ে যাচ্ছে। Oyster Mushroom সাধারণত ফ্রেস কিনতে পাওয়া যায়। আমরাও ফ্রেসই সংগ্রহ করেছিলাম। যেহেতু ফ্রেস মাশরুম বেশীদিন রেখে খাওয়া যায় না, তাই আমরা এটাকে ডীপ ফ্রীজে সংরক্ষণ করেছিলাম। ডীপ ফ্রিজ থেকে বের করে মাশরুমগুলিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে এসেছি রান্না করার আগেই। তারপরে মাশরুমগুলিকে ধুয়ে যতটুকু সম্ভব কুচি করে নিয়েছি। তার সাথে যোগ করেছি প্রায় এক টেবিল চামচ পরিমাণ পিঁয়াজ কুঁচি। প্রায় চার কাপ স্যুপের জন্যে ছয় কাপ পানি, সাথে লবণ ও খাবার তেল (আমরা রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেছি; আপনি যে কোন তেল ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট মাঝারি আঁচে খুব ভালোমতো ফুটিয়ে নিয়েছি।
ছয় কাপ পানি ফুটে প্রায় চার কাপ স্টক হয়ে যাবার পর তাতে প্রায় ৩-৪ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে স্টকের মধ্যে ঢেলে দিয়েছি। কর্ণফ্লাওয়ার দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টকটি গাঢ় স্যুপে পরিণত হয়ে যায়।
গার্নিসিং-এর জন্যে কাঁচা মরিচ কুঁচি ও ফ্রেস ধনে পাতা কুঁচি (আমাদের বাগান থেকে পেড়ে এনেছিলাম!!) স্যুপের উপরে দিয়ে দিয়েছিলাম। তৈরি হয়ে গেল অত্যন্ত সিম্পল মাশরুম স্যুপ। এখানে যে এত্ত কম উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটা স্যুপের টেস্টে কিন্তু বোঝা যায়নি একটিবারও! এটা আসলেই ছিল একটা লিকুইড হেলথি ডিলাইট! ছোট্ট লামিসারও খুব ফেভারিট হয়ে গিয়েছে এই স্যুপটা। ধন্যবাদ মা'কে।
আজ এ পর্যন্তই থাকলো। পরবর্তী পোস্টের আগ পর্যন্ত বিদায়। ফীডব্যাক দেবেন আশা করবো।
ওয়াহ!!! এ কি দেখলাম?!! স্যুপ নিয়ে একটা ভয় ছিল আমার যে কখনো করিনি... কিভাবে করবো... এই পোস্ট দেখার পরে মনে হল অন্তত মাশরুম স্যুপ পানিভাতের মত সহজ এখন! আই এম গ্যনা ডু দিস ভেরি সুউউউউউউউননন...
ReplyDeleteঅনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের! :D
এর চাইতে সহজ আসলেই হয় না... এবার নিশ্চয়ই ট্রাই করে দেখতে কষ্ট হবেনা... :)
Deleteঅনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য! :)